রঞ্জিত মল্লিকের বিপরীতে তার জুটিটা সবথেকে বেশি পছন্দ করলেন দর্শকরা। দ্বিতীয় ছবিতেই কার্যত কিস্তিমাত করে দিলেন মিঠু মুখোপাধ্যায়। তার মধ্যেই টলিউড খুঁজে পেল আরেক প্রতিভাসম্পন্ন নায়িকাকে। দর্শকরাও মিঠু মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় পছন্দ করতে শুরু করলেন।
মাত্র ৩৫ বছর বয়েসে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার মধ্যগগনে থাকতে থাকতেই ছেড়ে দেন অভিনয়। একদিকে টলিউডে উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকের তিনিই ছিলেন নায়িকা, অন্যদিকে আবার বলিউডেও তার বেশ সুনাম ছিল। তিনি অভিনয় করেছিলেন রাজ কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহাদের সঙ্গে। তারপরেও একটা সময় পর তিনি অভিনয় ছেড়ে দিলেন। বাংলা সিনেমার এক সময়ের দাপুটে অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায় এখন কোথায়, কেমন আছেন। আজকের প্রতিবেদনে রইল সেই খবর।
টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায়। উত্তম কুমার থেকে শুরু করে রঞ্জিত মল্লিক, অভিনয় জীবনে তাবড় তাবড় তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। বিশেষত রঞ্জিত মল্লিকের বিপরীতে তার জুটিটা সবথেকে বেশি পছন্দ করলেন দর্শকরা। দ্বিতীয় ছবিতেই কার্যত কিস্তিমাত করে দিলেন মিঠু মুখোপাধ্যায়। তার মধ্যেই টলিউড খুঁজে পেল আরেক প্রতিভাসম্পন্ন নায়িকাকে। দর্শকরাও মিঠু মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় পছন্দ করতে শুরু করলেন। তারপরেও কোথায় হারিয়ে গেলেন স্বর্ণযুগের এই অভিনেত্রী, এই প্রশ্ন সব দর্শকের মনেই। ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ এবং ‘মৌচাক’এ রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে মিঠুর জুটি দর্শকদের দারুণ পছন্দ হয়েছিল।
১৯৭১ সালে চিত্ত বোসের সিনেমা ‘শেষ পর্ব’ দিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন মিঠু। তবে সেই ছবিতে তেমন জনপ্রিয়তা পাননি তিনি। ১৯৭৩ সালে রিলিজ হওয়া ‘মর্জিনা আবদুল্লাহ’র হাত ধরে জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করেন মিঠু। এরপর ‘মৌচাক’ থেকে শুরু করে ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ মিঠু অভিনয় করেছেন একাধিক সুপারহিট ছবিতে।
এরপরেই বলিউডে পাড়ি দেন এই অভিনেত্রী। ১৯৭৬ সালে ‘খান দোস্ত’ ছবিতে প্রথমেই নায়িকা হিসেবে বলিউড তাকে সুযোগ দিয়েছিল। তবে এই ছবিটা সেভাবে সফল হয়নি। তাই তারপরের বেশ কিছু হিন্দি ছবিতে তাকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছিল। সেখানেও হিট ছিলেন মিঠু।
‘সফেদ ঝুট’, ‘দিল্লাগি’র মতো জনপ্রিয় সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে বলিউডে বেশ কিছু সময় কাজ করার ফের টলিউডে ফিরে আসেন মিঠু। টলিউডে মিঠুর দ্বিতীয় ইনিংসের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি ছিল ‘আশ্রিতা’। তবে এই ছবির পর থেকে আর পর্দায় দেখাই যায়নি এই প্রতিভাবান অভিনেত্রীকে। আরব্য রজনীর ‘আলিবাবা চল্লিশ চোর’ গল্পের তিনিই হলেন মর্জিনা, আবার কখনও ‘স্বয়ংসিদ্ধা’-র নতুন বউ মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীর উপর অত্যাচার আটকাতে হাতে চাবুক তুলে নেন। সেই মিঠু মুখোপাধ্যায়কে হয়ত আজও পর্দায় মিস করেন তাঁর গুণমুগ্ধরা। ‘আশ্রিতা’ ছবির পরিচালক চন্দ্র ব্যারোটকে বিয়ে করে তিনি চলে যান মুম্বাইতে। মাত্র ৩৫ বছরেই শেষ হয়ে যায় তার অভিনয় জীবন। এখন মুম্বাইতে সংসার পেতে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন মিঠু মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-
তৃণমূল বিধায়কের ছবির গুঁতোয় বাদ সৃজিতের X=Prem-এর স্ক্রিনিং, নন্দনে বিতর্ক তুঙ্গে