দেখতে দেখতে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে কেটে গেল দীর্ঘ ১১ বছর। একাধারে অভিনেত্রী অন্যদিকে সাংসদ, টলিপাড়ার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী সমান তালে সবটা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফিগার হোক কিংবা ফোটোশ্যুট টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছেন। তাদের স্টাইল স্টেটমেন্টে হার মানছে বলি সুন্দরীরাও। তবে নায়িকা হওয়ার পথটা যে মসৃণ ছিল না এবং দীর্ঘ এতদিনের কঠিন লড়াইটা আজও ভোলেননি সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। গত ১১ বছরের লড়াই অভিনেত্রীর প্রাণশক্তি।
আরও পড়ুন-বেবিবাম্প' নিয়ে হটকে পোজ, মা হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই ছবি পোস্ট করে ভাইরাল কোয়েল...
সাধারণ পরিবারের মেয়ে হয়ও আজ থেকে দীর্ঘ ১১ বছর আগে কলকাতায় এসেছিসেন মিমি। পড়তে যাবার নাম করেই বাড়িতে মিথ্যে বলে কলকাতায় এসেছিলেন মিমি। সেইখান থেকেই শুরু পথচলা। আজও সেই পুরোনো দিনকে পাথেয় করেই এগিয়ে চলছেন সাংসদ অভিনেত্রী।
মাত্র ৩০০০ টাকা দিয়েই হোস্টেল খরচ থেকে কলেজ খরচ সবটা করতে হত মিমিকে। সেই টাকার মধ্যে অডিশন। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই দীর্ঘ প্রচেষ্টাতে অডিশনে সুযোগ পেলেই মডেলিং শুরু করেছিলেন মিমি। সেখান থেকে ধারাবাহিকে সুযোগ। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মিমিকে। বর্তমানে যাদবপুরের মেয়ে আবার নিজের এলাকারই সাংসদ। সবসময়েই এলাকাবাসীর পাশে থেকেছেন মিমি চক্রবর্তী। প্রচলিত ট্যাবু ভেঙে বরাবরই তিনি গর্জে ওঠেন। একাধিক ছবিতে অভিনয় করে সকলের মন জিতে নিয়েছেন মিমি। সম্প্রতি 'ড্রাকুলা স্যার' ছবিতে অনির্বাণের বিপরীতে নজর কেড়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী। ছবিতে 'মঞ্জরী'র ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মিমিকে। পুজোতেই রুপোলি পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। সম্প্রতি খুব শীঘ্রই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইতে স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে 'ড্রাকুলা স্যার'-এর। মিমির মতে, 'আমি এখন শক্তিশালী চরিত্রই বেছে নেওয়ার চেষ্টা করি। ড্রাকুলা স্যারের মঞ্জরী একটা লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র। আমার মনে হয় আমি সব চরিত্র থেকে একটু একটু করে বেছে নিলেও এই চরিত্রর শক্তিটা আমার কোথায় যেন সব থেকে বেশি। 'এছাড়াও 'এসওএস কলকাতা ' এবং জিতের বিপরীতে 'বাজি' ছবির কাজ শেষ করেছেন মিমি।