"আর্টিস্টরা মানুষ, আর বাকিরা? তাঁরা মানুষ নয়? কোনও বীমা দেওয়া উচিত না। কেউ এখানে ফ্রি তে কাজ করছে না। সবাই জিএসটি সমেত পার ডে বুঝে নেবেন।" সায়নীর এই ফেসবুক পোস্টে জল্পনা তুঙ্গে। আর্টিস্ট ফোরামের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার সায়নী। লকডাউন খুলতেই শুরু হওয়ার কথা ছিল শ্যুটিং। বলা নেই কওয়া নেই ছোট্ট একটা মেসেজ করেই ফের ক্যানসেল করা হল শ্যুটিং। এদিকে কিছু সংখ্যক শিল্পীরা বীমার জন্য প্রযোজকের উপর চাপ দিচ্ছেন বলে স্টেটাসের লিখেছেন সায়নী। সব মিলিয়ে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রের সঙ্গে খানিক কথা কাটাকাটিও শুরু হয়ে গিয়েছিল সায়নীর।
আরও পড়ুনঃফিল্ম-সেটে দীপিকাকে টেনে ধরলেন রণবীর, জনসমক্ষে ঘনিষ্ঠতায় মজে সেলেব-জুটি
সায়নী আরও লেখেন, "নিজের চারটে খেপ এবং দশটা মাচার ডেফিসিট টা অন্যের ঘাড়ে না চাপালেই নয়। একটা ইউনিটে শুধুমাত্র একজনের করোনা হবেনা। সংক্রমণ হতে বাধ্য। এই এক গরীব ইন্ডাস্ট্রি, দিনের পর দিন পেমেন্ট বাকি। সবকিছুর দায়িত্ব নেওয়া কি স্বাভাবিক? নাকি বাকিরা বিদ্রোহ করে পেট চালাবে? যে শিল্পীরা বীমার দাবি করে ঝামেলা পাকিয়ে কাজ নষ্ট করছে, তাঁরা নিজেকের পারিশ্রমিকের দশ শতাংশ কোভিড ফান্ডে দিক। তাঁদের সঙ্গে যারা একই ইউনিটে শিল্পীদের তুলনায় অনেক বেশি এক্সপোজড। স্বার্থপরের মত ভাবা বন্ধ করুন।" শেষে লিখেছেন, "যে ভয় পাবে বাড়ি বসে থাক। যাদের টাকার প্রয়োজন নিজ দায়িত্বে কাজে লেগে পর। আর কাঠিবাজদের বলছি, মরবে মরো, ছড়িও না।"
আরও পড়ুনঃদিশার আত্মহত্যার খবরে শোকপ্রকাশ সুশান্তের, বহুতল থেকে ঝাঁপ প্রাক্তন ম্যানেজারের
আর্টিস্ট ফোরামের শ্যুটিং ক্যানসেল করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন সায়নী। কেবল তিনিই নন, পোস্টে কমেন্ট করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তীও। সমর্থন জানিয়েছেন সায়নীর প্রতিটি কথার। অন্যদিতকে রূপাঞ্জনার সঙ্গে রীতিমত কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছে সায়নীর। রূপাঞ্জনার প্রশ্ন ছিল, সায়নী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না, তাহলে কেন এমন মন্তব্য করেছেন। সায়নীর পাল্টা জবাবে বলেছেন। বহু শিল্পী সহ কয়েকশো মানুষ বৈঠকে উপস্থিত থাকেন না, তাই বলে এমন ভাষা ভাষা একটা মেসেজ করে কল টাইম বাতিল করা হবে কেন। রূপাঞ্জনা অনুরোধ জানিয়েছেন, আর্টিস্ট ফোরামে যাঁদের ভোট দিয়ে আনা হয়েছে, তাঁদের উপর একটু ভরসা করতে, সকলে বড্ড তাডা়তাড়ি ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। সায়নী অন্যদিকে নিজের মন্তব্যে অনড় ছিলেন।