'ওনাকে ট্রলিও ঠেলতে দেখেছিলাম আমি', সন্দীপ রায়ের ছেলেবেলার স্মৃতিতে আজও সৌমিত্র বিরাজমান

  • প্রয়াত 'ফেলুদা' সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
  • সত্যজিৎ-সৌমিত্র জুটির এবার আকাশপথে দেখা
  • শোকপ্রকাশ করলেন সন্দীপ রায়
  • পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, জানালেন পরিচালক 
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 15, 2020 7:55 AM IST / Updated: Nov 15 2020, 06:18 PM IST

ফেলুদাও এবার লেখকের সঙ্গেই। প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এ যেন এক অধ্যায়ের শেষ। গোটা একটা যুগ চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নিত্যদিনের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেলেও কোথাও যেন ক্ষীণ আশা রয়ে গিয়েছিল সকলের মনে। ছেলেবেলার ফেলুদা সমগ্রর প্রতি টান থেকে কবেই যে সিনেপর্দার ফেলুদার প্রতি মগজাস্ত্র ঘুরে গিয়েছে তা হয়তো কেউই টের পায়নি। সেই ফেলুদাকে হারিয়ে ফেলাই যেন কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না কারোরই।

বিশ্বাস হচ্ছে না সন্দীপ রায়েরও। সত্যজিৎ রায়ের পর কেউ যদি খুব কাছ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েকে দেখে থাকেন সেই মানুশটি সম্ভবত সন্দীপ রায়। তাঁর কথায় তিনি একজন পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। ষাট বছর ধরে কাছ থেকে পুঙ্খাপুঙ্খভাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজ এবং তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চেনার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তাঁরই মৃত্যুতে সন্দীপ রায় শোকাহত বললে কমই বলা হবে। পরিচালকের কথায়, তাঁর কাছে এই শোকপ্রকাশের কোনও ভাষা নেই। 

পুরনো দিনের কথা মনে করে তিনি বলতে থাকেন, "বাবার সঙ্গে ওনার এক অদ্ভুত রসায়ন ছিল। একে অপরের সঙ্গে দারুণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে তাঁরা। প্রতিটি চরিত্রের পিছনে ভীষণ সময় দিতেন সৌমিত্রবাবু। 'অশনি সংকেত'র সময় একটি ডায়েরি মেনটেন করতেন। পরের দিকে সেই ডায়েরি আর লিখতে দেখেনি। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সেই ডায়েরি লিখতে দেখতাম। আমার মনে আছে, চরিত্রটি নিয়ে উনি মারাত্মক পড়াশোনা করেছিলেন। নিজের শ্যুটিং শেষ করে সেট ছেড়ে চলে যেতেন না। বাবাকে সাহায্য করতেন। এমনকী ট্রলিও ঠেলতে দেখেছিলাম ওনাকে। সে যেন এক অদ্ভুত পেশাগত ব্যবহার। রীতিমত পণ্ডিত লোক ছিলেন তিনি। "

Share this article
click me!