এ যেন এক অন্য উত্তম কুমার। নায়ক ছবি এক কথায় সকলের নজর কেড়েছিল। একের পর এক ছবি করে উত্তম কুমার তখন কেরিয়ারের মধ্যগগণে। তাঁর ছবি মানেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। টানটান উত্তেজনা, পর্দায় উপস্থাপনার ভঙ্গিমাই যেন আলাদা। তেমনই এক অভিনেতা সত্যজিৎ রায়ের হাতে পড়ে পেয়েছিলেন এক নতুন পাঠ। নায়ক ছবির জন্যই এই দুই মেগাস্টার একজোট হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ শতবর্ষে কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়, শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে মাতল বাঙালি
চলছে ছবির শ্যুটিং। সাদাকালো পার্দাতেই তখন উত্তম কুমার রঙিন। এমনই সময় মহানায়কের হল বসন্ত। মুখ ভর্তি বসন্তের দাগের ছাপ। কিন্তু সত্যজিৎ রায় মেকআপ আর্টিস্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, একেবারেই উত্তম কুমারের কাছে যাওয়া চলবে না। হালকা পাফ করতে পারেন, কিন্তু কোনও মেকআপই হবে না। চিন্তিত হয়ে ছুঁটে এসেছিলেন মহানায়ক। বলেছিলেন- আমার যে মুখে বসন্তের দাগ। মেকআপ করব না!
আরও পড়ুনঃ শেষের দিকে ২ মে গা ঢাকা দিতেন সত্যজিৎ রায়, কীভাবে নিজের জন্মদিন পালন করতেন পরিচালক
তখন নেগেটিভ-এ সাদা কালো ছবি। তাই রাশ দেখতে সময় লাগত দিন দুয়েক। বিশ্বাস জুগিয়ে সত্যজিৎ রায় জানিয়েছিলেন- না মেকআপ হবে না, তাও তোমায় ভালোই লাগবে। ভরসা রাখো। তেমন হলে আমি তোমায় রাশ দেখাবো। রাজি হয়ে গিয়েছিলেন উত্তম কুমার। আর ছবির রাশ দেখা মাত্রই তিনি চমকে গিয়েছিলেন, এও কী সম্ভব। মেকআপ ছাড়াই এত সুন্দর শট। মুখের দাগও সেভাবে প্রভাব ফেলল না পর্দায়। এভাবেই অভিনেতাদের ভেঙে গড়ার কাজ করতেন পরিচালক। যা দিয়ে তৈরি হয়েছে একের পর এক ঐতিহাসিক ছবি।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল
কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস