মহানায়কের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো আজও প্রথা মেনেই হয়ে আসছে। উত্তম কুমারের মৃত্যুর পরও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। একই ভাবে, একই সাজে ও একই লুকে আজও পুজিত হন মা লক্ষ্মী। তবে এই প্রতিমা থেকে শুরু করে তার পুজোর আয়োজন, নীতি রীতি সবই ঠিক করে দিয়ে গিয়েছিলেন উত্তম কুমার ও তাঁর স্ত্রী গৌরী দেবী। তাঁদের কথার আজও হয় না খেলাপ। তাই এখনও মহানায়কের বাড়ির প্রতিমাতে চোখ পড়লেই ভেসে ওঠে গৌরী দেবীর মুখ।
আরও পড়ুনঃ সঙ্কটজনক হলেও শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি, আজ তৃতীয় দফার ডায়ালিসিস সৌমিত্রর
খোশ মেজাজের খেয়ালি মানুষ ছিলেন উত্তম কুমার। শ্যুটিং সেটেই স্থির করেছিলেন প্রতিমা ঠিক কেমন হবে ও কে গড়বেন। তখন যদু ভট্ট ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন মহানায়ক। সেটে প্রয়োজন একটি সরস্বতীর মূর্তি। কুমোরটুলি থেকে বায়না দিয়ে তা বানিয়ে আনা হল। দেখে এক কথায় মুগ্ধ উত্তর কুমার। স্থির করলেন, তাঁর বাড়ির লক্ষ্মী ঠাকুরও গড়বেন সেই কুমোরই। নাম নিরঞ্জন পাল। তবে দিলেন একটি শর্ত। মায়ের মুখ হতে হবে তাঁর স্ত্রী গৌরী দেবীর মুখের মত।
সেই মতই গৌরী দেবীর মুখের আদলে প্রতিমা গড়ে ফেললেন কুমোর। সবাই দেখে অবাক। তবে থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। আজও সেই একই ধাঁচের প্রতিমা গড়া হয়। আগে বেনারসী পরিয়ে মাকে নিয়ে আসা হত বাড়িতে। সেখানে কুমোর এসেই পড়াতেন গহনা। কিন্তু আজ সেই প্রথা আর নেই। তাঁতের শাড়ি পড়িয়ে বাড়িতে লক্ষ্মীর প্রবেশ। তবে আয়োজনে নেই কোনও পরিবর্তী, নেই কোনও ফাঁক।