সময়টা গত শতাব্দীর পাঁচের দশক। চলচ্চিত্র জগতে পা রাখাটাই তখন বিশাল বেপার। এমনই সময় কীভাবে তৈরি হল প্রথম বাঙালি ক্যাবারে ডান্সার! মিস শেফালির মোড়কে হারিয়ে গেল আরতি দাসের নাম। তিলে তিলে পাঁচ জনের এক জন হয়ে ওঠা এতটাই কী সহজ ছিল, সমাজের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ঠাঁই পেল পাঁচতারা হোটেলে।
আরও পড়ুনঃ একদিন মহানায়ক উত্তমকুমারও মিস শেফালীর বেলি ড্যান্স আর হুলা মুভসে ধরাশায়ী হয়েছিলেন
পথ চলা শুরু আহিরীটোলার এক ছোট পরিবার থেকে। পরিবারকে তখন গ্রাস করছে দারিদ্রতা। চোখের জল বাধ মানতে নারাজ বাবার। ছোট্ট মেয়ে আরতি দরজায় দাঁড়িয়ে তখন কর্মের প্রার্থী। পথচলা সকল মানুষের কাছেই সহজে পৌঁছে গিয়ে আবেদন- একটা কাজ হবে। বয়স তখন দশ। কে দেবে এটুকু মেয়েকে কাজ! এমনই সময় সুযোগ আসে এক বিদেশী পরিবারে পরিচারিকার কাজের। সেখানে সময় কাটত ভালোই। কলকাতার বুকে তখনও বিদেশীদের দাপট। রাতের শহরের এক ভিন্ন মেজাজ। সেই পরিবারেও তার আঁচ ছিল যথেষ্ট। সন্ধ্যে হলেই বসত আসর। সেখান থেকেই লুকিয়ে লুকিয়ে চলত নাচের পাঠ।
সেই পরিবারেই একদিন এক ব্যক্তির কাছে অনত্র চাকরির কথা জানান আরতি, পাল্টা প্রশ্ন আসে, তুমি নাচতে পার! তিনি কিছু না বুঝেই সন্মতি জানিয়েছিলেন। এরপরই তাঁর ঠাঁই হয় গ্র্যান্ডে। প্রথম নাচেই বাজি মাত। বাড়তে থাকে কদর, সকলেই তাঁকে নেওয়ার দাবি করে। অবশেষে নাম পাল্টে হয় মিস শেফালি, আর পারিশ্রমিক, তখনকার দিনে দাঁড়ায় ৭০০ টাকা। তখন থেকেই রাতের রানি হয়ে ওঠেন মিস শেফালি, অগোচরে রয়ে যায় আরতি দাস পরিচয়।