গর্ভবতী মানেই টেস্টবাডে আসে বিভিন্ন বদল। কখনও টক খেতে ইচ্ছা করে তো কখনও মিষ্টি আবার কখনও ঝাল। এমনই ক্রেভিংস বাড়তে থাকতে মাসের সঙ্গে। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রেভিং নিয়ে এখন মাতোয়ারা তাঁর ভক্তরা। অভিনেত্রীর পোস্ট করা নতুন কয়েকটি ছবিতে তাঁকে নাইটস্যুটে দেখা গিয়েছে। যেখানে ফ্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে চকোলেট খাচ্ছে আবার কখনও দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে মজার পোজ দিচ্ছে। এভাবেই কাটছে মম টু বি শুভশ্রীর দিন। তিনিও ক্যাপশনে লিখেছেন, এই নয় মাস আরামসে যা ইচ্ছে খেয়ে যাও। বারণ করার কেউ নেই। ডায়েটেরও ঝামেলা নেই।
প্রসঙ্গত গত মাসে নিজের মা হওয়ার সুখবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। কোয়েল মল্লিকের ছেলে হওয়ার খুশির খবর প্রকাশ্যে আসার পরই শুভশ্রী মা হতে চলেছেন, এই খবরে আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল সকল ভক্তরা। তারপরই আমফান সাইক্লোনে হতাশা ভরা পোস্টে চোখে জল এনে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আসন্ন সন্তানের জন্য আশঙ্কা ভরে উঠেছে শুভেশ্রীর মন। সেই আবেগেই কলম ধরেছিলেন তিনি। দুঃখপ্রকাশ করলেন আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া মানুষদের জন্য। এই পরিস্থিতিতে আর হাসিখুশি থাকতে পারছিলেন না তিনি। কলম ধরে সে লেখাটি পরে শুনিয়েছেন সকলকে।
আরও পড়ুনঃগাড়ি দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল সারা মুখ, ভয়াবহ অভিজ্ঞতায় আজও শিউরে ওঠেন মহিমা
করোনার প্রকোপের উপর আমফানের জেরে চারিদিক ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। আমফানের পরবর্তী অবস্থার বহু ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ছবিগুলির মধ্যে একটি ছবি দেখে ছ্যাঁত করে উঠছে সকলের মন। সেই ছবির প্রসঙ্গ তুলেছেন শুভশ্রী, তিনি বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি খুব ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। বছর চার-পাঁচেকের একটি বাচ্চা বাটি নিয়ে ত্রাণশিবিরে এসেছে খাবার নিতে। রাস্তায় জমা জল বুক অবধি এসে গিয়েছে তার। কয়েক বছর পর তুইও তো এই বয়সের হবি। এই ছবি দেখার পর তোর কথা ভেবে কীকরে বেশি করে খাইবলতো।" কত মানুষের বাড়ি হারাবার পর জমা জলের মধ্যে দিয়েও নতুন ঠিকানা খুঁজতে চলেছে তারা। এমন অবস্থায় আর কীকরে ভাল থাকতে পারে মানুষ। শুভশ্রীর এই লেখা শুনে আবেগে ভরে উঠেছিল বিনোদন মহল থেকে ভক্তমহল।