লকডাউনের আগে থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ছবির শ্যুটিং। বন্ধ ছিল সিরিয়ালের শ্যুটও। প্রথম কোপেই ঝাপ নামাতে হয়েছিল প্রেক্ষাগৃহগুলিকে। এরপরই ঘোষণা হয়েছিল লকডাউনের। বন্ধ ছিল শ্যুটিং পাড়া, কিন্তু টিভির মাধ্যমে খানিক বিনোদন গৃহবন্দি মানুষের কাছে পৌঁচ্ছে দিলেও তা হয় পুরোনো, কিংবা বাড়ি থেকে শ্যুট করা। এমনই পরিস্থিতিতে অনেক শিল্পীদের কপালে ছিল চিন্তার ভাঁজ।
আরও পড়ুনঃ কান্নায় ভেঙে পড়া অর্জুনকে সামলাচ্ছেন রূপা, 'মহাভারত'র শ্যুটিং শেষে ভাইরাল ভিডিও
দুশ্চিন্তা গ্রাস করছিল প্রযোজক সংস্থাগুলিকেও। আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল অনেক শিল্পীদের। সাধ্য মত তাঁদের অর্থ সাহায্যও করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। পাশাপাশি মুক্তি পেয়েছে একাধিক লকডাউন শর্টফিল্ম। যা থেকে উপার্জিত অর্থও গিয়েছে এই সংকটে থাকা শিল্পী, টেকনিশিয়ানদের খাতে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তার কোনও সঠিক উত্তর না মেলায় বিস্তর আর্থির ক্ষতির মুখ দেখছিল বিনোদন জগত।
দুর্যোগ না কাটলেও লকডাউন চারের মুখে এসে খানিক স্বাস্তি পেল টলি-পাড়া। শ্যুট করা যাবে না ছবির, কিন্তু শ্যুট হয়ে থাকলে, শুরু করে দেওয়া যাবে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। তবে তা শর্ত সাপেক্ষ। সম্পূর্ণ লকডাউনের ৪৯ দিনের মাথায় মিলল সুখবর। শর্ত মেনে শুরু করা যাবে এডিটিং, ডাবিং সহ সাউন্ড মিশিং-এর কাজ। ইম্পা, ডব্লিউ এ টি পি, আর্টিস্ট ফোরাম ও ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা সোমবার বৈঠকে করেছেন, সেখানেই উপস্থিত অরূপ বিশ্বাস ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের থেকে তাঁরা কাজ শুরু করার অনুমতি চেয়েছিলেন। সম্পূর্ণ ছাড়পত্র না মিললেও, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শুরু হলে, শ্যুট হয়ে থাকা অনেক ছবি তৈরি করে ফেলা এবার সম্ভবপর হবে।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল
কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস
শরীরে কীভাবে থাবা বসায় করোনা, জানালেন বিশেষজ্ঞরা