২০১৬ সালে করন জোহর পরিচালিত অ্যায় দিল হে মুশকিলের পর আর শুটিং ফ্লোরে দেখা যায় নি অভিষেক ঘরণীকে। এই ছবিতে রনবীর কাপুরের ঘণিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের পর বচ্চন পরিবারে অ্যাশকে নিয়ে অশান্তি পৌঁছেছিল চরম সীমায়। সংসারে শান্তি বজায় রাখতে আপাতত সিনেজগত থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন রাই সুন্দরী। আর এখন নাকি তিনি পাক্কা গৃহবধূ হয়ে উঠেছেন। অর্ধাঙ্গিনী আশ্বর্য সম্পর্কে এমন মতই প্রকাশ করলেন জুনিয়র বি।
বচ্চন বধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন বিয়ের পর সেভাবে বড় পর্দায় দেখা যায় নি। হাতে গোনা কয়েকটা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাই সুন্দরী। ২০১৬ সালে করন জোহর পরিচালিত অ্যায় দিল হে মুশকিলের পর আর শুটিং ফ্লোরে দেখা যায় নি অভিষেক ঘরণীকে। পেজ থ্রি-র খবরে যারা চোখ রাখেন তাঁরা প্রত্যেকেই জানন যে এই ছবিতে রনবীর কাপুরের ঘণিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের পর বচ্চন পরিবারে অ্যাশকে নিয়ে অশান্তি পৌঁছেছিল চরম সীমায়। এমনকি ছবি থেকে বেশ কিছু বোল্ড দৃশ্য বাদ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন ঐশ্বর্যের শ্বশুরমশাই তথা বলিউডের শহেনশা অমিতাভ বচ্চন। তাই সংসারে শান্তি বজায় রাখতে আপাতত সিনেজগত থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন রাই সুন্দরী। আর এখন নাকি তিনি পাক্কা গৃহবধূ হয়ে উঠেছেন। অর্ধাঙ্গিনী আশ্বর্য সম্পর্কে এমন মতই প্রকাশ করলেন জুনিয়র বি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন বলেন, বেশ কিছু ভালো হিন্দি ছবিতে শুধুমাত্র সাহসী চরিত্র বা অন্তরঙ্গ দৃশ্যের জন্য সংসারে অশান্তি তৈরি হয়। নাম না করে অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল প্রসঙ্গে দশভি স্টার বলেন, এক সময় এই ঘটনা তাঁদের বিবাহিত সম্পর্ককে বিবাহ বিচ্ছেদ অবধি টেনে নিয়ে গিয়েছিল। তাই রাই সুন্দরী এই ধরনের অশান্তি থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। সাক্ষাকারে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় আজকাল তিনি বেশ ভাল কাজ করছেন কিন্তু রাই সুন্দরী তো ইন্ডাস্ট্রি থেকে একেবারে উধাও। সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, তাঁর েই ভালোর পিছনে যার অবদান রয়েছে তিনি তাঁর অর্ধাঙ্গিনী। আর সেই এই মুহুর্তে গোটা পরিবারকে সুন্দর করে সামলাচ্ছেন। অভিনেত্রী হিসাবে যেমন দক্ষ ছিলেন, একজন পাকা গৃহিনী হিসাবেও অ্যাশকে ফুল মার্কস দিয়েছেন অভি।
আরও পড়ুন-নয়া রেকর্ড গড়ার প্রতীক্ষায় রাজামৌলি, ১০০০ কোটির ক্লাবে এন্ট্রি নিতে চলেছে আরআরআর
আরও পড়ুন-উড়তা পাাঞ্জাব দেখে কেন শাহিদকে বিয়ে করতে চান নি মীরা, ফাঁস হল আসল রহস্য
আরও পড়ুন-শুধু হৃত্বিক- সাবা নন, প্রেম করছেন সুজান ও মুম্বই বিমানবন্দরে ছবি ভাইরাল
সেই সাক্ষাৎকারে অ্যাশের প্রশংসা করে বলেছেন, সে ভীষণ সুন্দরভাবে সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করে। আর ঠিক সেই কারনেই অভিষেক নিজের মত করে কাজ করতে পারছেন বলেও জানিয়ছেন তিনি। বাড়িতে মেয়ে আরাধ্যাকে কখনও হোম ওয়ার্ক করান কিনা সেই প্রশ্ন জানতে চাওয়া হলে তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, সেই কাজটা সবসময় মম ঐশ্বর্যই করেন। তিনি কখনই করেন নি। যদিও বা করেন ক্ষণিকের জন্য করে উঠে যান। কিন্তু গোটা বিষয়টি ধৈর্যের সঙ্গে সমাধান করেন স্ত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। সন্তানের প্রতি এই যত্ন, কেয়ারিং চরিত্রের জন্যই স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। এখানেই শেষ নয়, অভিষেক আরও বলেন যে, আরাধ্যাকে আর পাঁচজন সাধার বাচ্চার মতই প্রতিপালন করেন অ্যাশ। ইভেন্ট বা পার্টি, খেলাধূলা, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ-এর বিষয়গুলো সবটাই নিজে হাতে সামলান বচ্চন পরিবারের পারফেক্ট বধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।