সংক্ষিপ্ত

রোম্যান্টিক নায়কের মোড়ক ছেড়ে মাদকাশক্তের চরিত্রে একেবারে অন্যস্বাদের চরিত্রে সকলের সামনে মেলে ধরেছিলেন তিনি। গোটা ছবি জুড়েই ছিল নেশাগ্রস্থ শাহিদের নিখুঁত অভিনয়। তবে ছবি  মুক্তির পর বক্সঅফিসে সেভাবে ব্যবসা করতে পারে নি শাহিদের উড়তা পাঞ্জাব। বক্সঅফিস কাঁপাতে না পারলেও ব্যক্তিগত জীবনে কাঁপুনি উঠেছিল শাহিদের। কারন এই ছবি দেখার পর নাকি শাহিদের সঙ্গে বিয়েতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তাঁর উড বি স্ত্রী মীরা রাজপুত।

শাহিদ কাপুর আর মীরা রাজপুতের পারফেক্ট বন্ডিং-র কথা কিন্তু কারোরই অজানা নয়। তাঁদের বিবাহিত জীবনে কোনও সমস্যা বা টক-ঝাল মুহুর্তের খবর কখনও বিনোদনের হট কেক হয়ে ওঠেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে তাঁদের বিবাহিত জীবন। কিন্তু আপনি কী জানেন বিয়ের আগে বেশ বড়সড় সঙ্কটে পরেছিলেন শাহিদ কাপুর! ২০১৬ সালে শাহিদ কাপুর অভিনীত উড়তা পাঞ্জবের পোস্টার থেকে টিজার তারপর ট্রেলারে একেবারে ঝড় উঠছিল দর্শক মহলে। রোম্যান্টিক নায়কের মোড়ক ছেড়ে মাদকাশক্তের চরিত্রে একেবারে অন্যস্বাদের চরিত্রে সকলের সামনে মেলে ধরেছিলেন তিনি। গোটা ছবি জুড়েই ছিল নেশাগ্রস্থ শাহিদের নিখুঁত অভিনয়। তবে ছবি  মুক্তির পর বক্সঅফিসে সেভাবে ব্যবসা করতে পারে নি শাহিদের উড়তা পাঞ্জাব। বক্সঅফিস কাঁপাতে না পারলেও ব্যক্তিগত জীবনে কাঁপুনি উঠেছিল শাহিদের। কারন এই ছবি দেখার পর নাকি শাহিদের সঙ্গে বিয়েতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তাঁর উড বি স্ত্রী মীরা রাজপুত।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহিদ এই গোটা বিষয়টি সামনে এনেছেন। জার্সি স্টার বলেছেন, উড়তা পাঞ্জাবের প্রথমভাগ দেখার পরই মীরা তাঁর কাছে এসে বলেছিলেন তিনি নাকি শাহিদের সঙ্গে সংসার করবেন না। কারন সিনেমায় শাহিদ যে ধরনের ড্রাগ অ্যাডিকটেড বা নেশাগ্রস্থ চরিত্রে অভিনয় দেখে মীরা বেশ চিন্তিত ছিল। তাই সোজা শাহিদকে এসে জানিয়েছিলেন যে, তিনি যদি বাস্তব জীবনে এই রকম নেশাগ্রস্থ চরিত্রের হন তাহলে এই বিয়ে সম্ভব নয়। তখন শাহিদ মীরাকে বুঝিয়েছিলেন যে, এট শুধু রুপোলি পর্দার একটা চরিত্র মাত্র। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। তাই সিনেমা দেখে তাঁর চরিত্র যাচাই করার প্রয়োজন নেই বা বিয়ে নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তোলারও দরকার নেই। কারন রিল আর রিয়েল লাইফের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকে। একে অপরের সঙ্গে কখনই গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। 

আরও পড়ুন-শাহিদকে যেন কেউ অস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন, এমন আর্জি কেন করলেন মীরা?

আরও পড়ুন-বিছানায় ফেলে সঙ্গম, শয্যাদৃশ্যে পরপুরুষের সঙ্গে নিজেকে দেখতে কেন নারাজ ছিলেন ঐশ্বর্য

আরও পড়ুন-কীভাবে নিজের যৌবন ধরে রেখেছেন আলিয়া, বিয়ের আগে রূপের রহস্য ফাঁস হবু কনের

আর সত্যিই শাহিদ-মীরার বিবাহিত জীবন অত্যন্ত স্মুদ। বিভিন্ন বলিতারকাদের বিবাহিত জীবনে সমস্যা বা ভাঙনের চিত্র যেমন সামনে আসে, আজ অবধি কিন্তু এই তারকা জুটির এই রকম কোনও খবর প্রকাশ্যে আসেনি। বিয়ের পর বাইররের জগত থেকে নিজেক একপ্রকার গুটিয়ে নিয়েছেম মীরা। সংসাররেই পুরো মনোনিবেশ করেছেন তিনি। আজ হয়ত মীরা বুঝতে পেরেছেন শাহিদকে বিয়ের সিদ্ধান্ত তাঁর মোটেই বুল ছল না। উড়তা পাঞ্জাব দেখে তাঁর মনে যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছিল সেটা যে একদমই ভিত্তিহীন ছিল তা বিয়ের পরই টের পেয়েছেন শাহিদ ঘরণী। শাহিদের মত কেয়ারিং হাবি কজনই বা পায়! তাই নয় কী!