অবশেষে মাচ আওয়েটেড হিন্দি ওয়েব সিরিজ 'কেহনে কো হামসফর হ্যয়'র ডিজিটাল প্রিমিয়ার নিয়ে দর্শকের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। রাত পোহালেই শুরু হবে বিঞ্জওয়াচিং। সিরিজের ডিজিটাল প্রিমিয়ার সঙ্গে ডিজিটাল প্রেস কনফারেন্সে হাজির ছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। প্রেম-বিবাহ-বিচ্ছেদ, সঙ্গে প্রতারণার জ্বালা। একসঙ্গে কত কী সহ্য করছে রোহিত, পুনম এবং অনন্যা। রনিত রায় রয়েছেন রোহিতের ভূমিকায়। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পুনমের ভূমিকায় গুরদীপ কোহলি এবং এখনকার স্ত্রী অনন্যার ভূমিকায় মোনা সিং। তাঁদের কাছে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার প্রশ্ন ছিল, যত দিন যাচ্ছে তত বেশি সম্পর্কের মধ্যে বাড়ছে টক্সিসিটি। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত জানালেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃমন্দাকিনি-মুনমুন, শর্মিলা-ডিম্পল, বিকিনিতে বম্বশেল সত্তরের নায়িকারা
রনিত বসু রায়ের কথায়, টক্সিসিটি এমন একটা জিনিস যা উত্তর উত্তর বাড়তে থাকে, কমার কোনও রাস্তা নেই। এমন মানুষের সঙ্গে শুধুমাত্র কেবলমাত্র প্রেমের জন্য থাকা যায় না। একই জবাব দিলেন গুরদীপ এবং মোনা। টক্সসিটি বাড়তে বাড়তে গায়ে তুলতেও দ্বিধাবোধ করে না অনেক মানুষ। সেই সময় আর সম্পর্কে টিকে থাকার কোনও মানে হয় না। মোনা বললেন, "বাচ্চার সামনে স্বামী এসে স্ত্রীয়ের গায়ে হাত তুলছে। আর সেই মহিলা কেবল সন্তানের জন্যে সম্পর্কে থেকে যাচ্ছে। এভাবে সম্পর্কে থাকার কোনও মানে হয় না। তোমার সন্তান কী শিখছে এসবের থেকে। তার কি ভাল লাগছে এই গার্হস্থ্য হিংসা দেখে। আমার মতে, টক্সিসিটির সামান্যতম ইঙ্গিত পেলেই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসো।"
আরও পড়ুনঃঅমিতাভ নন, 'ডন' হিসেবে এই সুপারস্টাররাই ছিলেন পরিচালকের প্রথম পছন্দ
অতি সাধারণ তিনটি বিষয় নিয়ে তৈরি সিরিজের চিত্রনাট্য। সিজনের পর সিজন বাড়তে থাকল আবেগের জটিলতা। কথায় বলে বিয়ের পর প্রেম, ভালবাসা আর কিছুই নাকি থাকে না। সত্যি কি তাই। এই সিরিজটির সঙ্গে রিলেট করে এই কথাটির মধ্যে সত্যতা খুঁজে পেয়েছে দর্শক। আগামীকাল ৬ জুন সিরিজের তৃতীয় সিজন জি ফাইভে মুক্তি পাচ্ছে। ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা রীতিমত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময় যত এগোচ্ছে, অপেক্ষার রেশও তত বাড়ছে। সম্পর্কের টানাপোড়েন যেন আরও বেড়ে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে। সিজন থ্রিতে জুড়েছে আরও একটি চরিত্র। আমাইরা। অদিতি বাসুদেব অভিনয় করছেন এই চরিত্রে। এছাড়াও আরও দুটি চরিত্র জুড়েছে তৃতীয় সিজনে। আমাইরার মা, এই চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্যারন প্রভাকর। এবং নিশা, অভিনয়ে থাকছেন অঞ্জুম ফাকিহ।