আচমকাই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলেন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব। হঠাৎ করে কী হল অভিনেতার। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, জিমে গিয়েই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। শরীরচর্চা করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ট্রেডমিলের উপরেই পড়ে যান তিনি। তারপর তড়িঘড়ি করে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। আরও জানা গেছে পড়ে গিয়েই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় অভিনেতার। এই খবর জানাজানি হতেই ভক্তদের মধ্য উদ্বেগ বাড়ছে।
আচমকাই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলেন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব। হঠাৎ করে কী হল অভিনেতার। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, জিমে গিয়েই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। শরীরচর্চা করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ট্রেডমিলের উপরেই পড়ে যান তিনি। তারপর তড়িঘড়ি করে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। আরও জানা গেছে পড়ে গিয়েই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় অভিনেতার। এই খবর জানাজানি হতেই ভক্তদের মধ্য উদ্বেগ বাড়ছে।
এই মুহূর্তে কেমন আছেন অভিনেতা রাজু তা জানার জন্য সকলেই মুখিয়ে রয়েছেন। এইমস-এর কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন অভিনেতা। আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল আছেন অভিনেতা। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন রাজু। অভিনেতার পিআর টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভয় পাওয়ার আর কিছু নেই । ইতিমধ্যেই তাকে দুবার সিপিআর দেওয়া হয়েছে। এবং সকলকেই অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন রাজু। এইমস-এর চিকিৎসকরা তার ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অভিনেতার সুস্থতায় কোটি কোটি ভক্ত প্রার্থনা করছে। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা এই রাজুর অসুস্থতার খবরে সকলেই যেন ভেঙে পড়েছেন। তিনি যেন খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন সেটাই কামনা করছেন অনুরাগীরা তথা টেলিভিশন তারকারা। তিনি এমন একজন মানুষ যেটা কষ্ট পেলে হাঁসাতে পারেন তেমনই আবার অনায়াসেই চোখের জল বার করে দিতে পারেন। কমেডি শো-তে তার কমেডি দেখলে মন ভাল হয়ে যায় নিমেষে। এছাড়া স্টেজ শো-তেও দারুণ কমেডি করেন রাজু। বেশ কয়েকটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছন রাজু। ৫৮ বছর বয়সী অভিনেতা শুধু কমেডিয়ান বা কৌতুক অভিনেতা নন তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির একজন নেতাও। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। অভিনেতার অসুস্থতার খবর শুনে সকলেই তার সুস্থতার কামনা করছেন। কোনও কিছু না বোঝার আগেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। আচমকা বুকে ব্যথা হলে সেটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যাকে বলা হয় মাওকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশান। শিরার মধ্যে রক্তের গতি বন্ধ হয়ে গেলেই এমনটা হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে গতি কমে যায়। এই সময় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। শুধুমাত্র বয়স্কদেরই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এই ধারণা এখন অতীত। যত দিন যাচ্ছে, অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। বুকের মাঝ বরাবর থেকে ব্যথা ছড়িয়ে যদি মাঝখান পর্যন্ত যায়, তখনই বুঝবেন হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। ব্যথা বাড়লেই তড়িঘড়ি চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।