সলমনের ফ্যাশন স্টেটমেন্টে সর্বদাই ভক্তদের নজর কাড়ে। বিশেষ করে সলমনের হাতের নীল রঙের ব্রেসলেট হামেশাই নিজেদের ফ্যাশনে ব্যবহার করে থাকেন অনুরাগীরা। সলমনও সর্বদাই এই ব্রেসলেট নিজের কাছে রাকেন। কখনওই ভাইজানকে এই ব্রেসলেট ছাড়া দেখা যায় না। কী এমন আছে এই নীল পাথরের ব্রেসলেটে যে কখনওই এই ব্রেসলেট কাছছাড়া করতে চান না সলমন, তা জানার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা।
সদ্যই ৫৬-তে পা দিলেন বলিউডের ভাইজান সলমন খান। বলিউডের ব্যাচেলর-এর তকমা আজও মোছেনি তার থেকে। বহু নায়িকার সঙ্গে গুঞ্জন শোনা গেলেও ৫৫ পেরিয়েও তিনি বলিউডের মোস্ট পপুলার 'চিরকুমার' সলমন খান। তার অনুরাগীর সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। তার প্রতিটা জিনিস নিয়ে অনুরাগীদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। সলমনের ফ্যাশন স্টেটমেন্টে সর্বদাই ভক্তদের নজর কাড়ে। বিশেষ করে সলমনের হাতের নীল রঙের ব্রেসলেট হামেশাই নিজেদের ফ্যাশনে ব্যবহার করে থাকেন অনুরাগীরা। সলমনও সর্বদাই এই ব্রেসলেট নিজের কাছে রাকেন। কখনওই ভাইজানকে এই ব্রেসলেট ছাড়া দেখা যায় না। কী এমন আছে এই নীল পাথরের ব্রেসলেটে যে কখনওই এই ব্রেসলেট কাছছাড়া করতে চান না সলমন, তা জানার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা।
সলমন একবার নিজেই এই ব্রেসলেটের আসল রহস্য ফাঁস করেছিলেন। সলমন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আমার বাবা এই ব্রেসলেটটি হাতে সবসময় পড়ে থাকতেন। বাবার হাতে দেখতে এটা ভীষণ ভাল লাগত। বাচ্চারা যেভাবে খেলে, আমিও আমার বাবার ব্রেসলেট নিয়ে খেলা করতাম তখন। তারপর আমি যখন আমার কাজ শুরু করি তখন বাবা নিজের ব্রেসলেটের মতো হুবহু একটা ব্রেসলেট আমায় এনে দেয়। যাকে বলা হয় ফিরোজা। এবং বলা হয়ে থাকে দুটিই মাত্র জীবন্ত পাথর আছে, একটি হল আকিক আর অন্যটি হল ফিরোজা। আর এটা হল সেই ফিরোজা । যখনই কোন অশুভ শক্তি আসে, তখনই এই পাথর সেটিকে টেনে নেয় এবং তা নষ্ট করে ফেলে। এটা আমার সপ্তম স্টোন। সলমনের এই ব্রেসলেট অনেক অনুরাগীরাও নকল করে। এবং শুধু তাই নয়,ভাইজানের স্টাইল স্টেটমেন্টে এটি সবথেকে বেশি নজর কাড়ে।
চলতি বছরে পানভেল ফার্ম হাউজে জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন সলমন খান। কিন্তু তার আগেই একটা খারাপ ঘটনা ঘটে যায়। একদিকের পানভেলের ফার্ম হাউজে ভাইজানের জমকালো পার্টির আয়োজন চলছে। তার মধ্যে আচমকা জানা যায় বিষধর সাপে কেটেছে সলমন খানকে, এই খবর শোনা মাত্রই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ভাইজানকে নিয়ে তার পর থেকেই ঘুম উড়েছিল ভক্তদের।তবে জন্মদিনের ভোররাতেই চওড়া হাসি মুখেই সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে মুখে হাসি নিয়েই অভিনন্দন বিনিময়ের পালা সারেন বলিউডের ভাইজান। পাপারাৎজির ক্যামেরায় হাসিমুখে পোজ দিতেও দেখা গেছে ভাইজানে। তবে ভাইজান এও বলেন, সাপে কামড়ানোর পর এমন হাসি ধরে রাখা খুব শক্ত। সলমন আরও বলেছিলেন, সাপটি নাকি বিষাক্ত ছিল। এবং একবার নয়, বরং তিনবার নাকি সাপের কামড় দিয়েছে। সাপটা আমার ফার্মহাউজে ঢুকে পড়েছিল। আমি লাঠির সাহায্যে সেটাকে বাইরে নিয়ে আসি। এবং সেটা আমার হাত পর্যন্ত উঠে আসে। আমি সাপটাকে ছাড়াতে গিয়েই সাপটা আমাকে তিনবার কামড়ে দেয় । সলমন আরও বলেন, ওটা প্রচন্ড বিষধর ছিল। আমি ৬ ঘন্টা হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখন আগের থেকে অনেকটা ঠিক আছি। জন্মদিনের আগে সলমনের এই খবরে ঘুম উড়ে গিয়েছিল ভক্তদের। যদিও সলমনের হেলথ আপডেট পেয়ে এখন অনেকটাই স্বস্তি ভক্তমহলে। সাপে কামড়ানোর পরই সলমনকে নবী মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা চালানোর পর ৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন ভাইজান।