দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন ভূপিন্দর সিং। মূত্রনালিতেও সংক্রমণ হওয়ায় ক্রমশই শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন ভূপিন্দরের স্ত্রী মিতালি সিং।
বলি বিনোদন জগৎ থেকে সোমবার রাতে মিলল দুঃসংবাদ। প্রবীণ প্লেব্যাক গায়ক ভূপিন্দর সিং মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর স্ত্রী ও গায়িকা মিতালি সিং এই জনপ্রিয় গায়কের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। ভূপিন্দর সিং তার ভারী কণ্ঠের জন্য পরিচিত। বলিউডের অনেক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় গায়কের মৃত্যু সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তার স্ত্রী মিতালি বলেছেন যে "তিনি বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন"। বেশ কিছু দিন ধরেই প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল একাধিক জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা।
ভূপিন্দর সিং ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বর্তমানে গায়কের শেষকৃত্যের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তাই আরো বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা চলছে। ভূপিন্দর সিং বলিউডে তার অনেক বিখ্যাত গানের জন্য পরিচিত। তিনি "মৌসম", "সত্তে পে সাত্তা", "আহিস্তা আহিস্তা", "দুরিয়ান", "হকীকত" এবং আরও অনেক কিছুর গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
তার কিছু বিখ্যাত গানের কথা বলতে গেলে, “হোকে মজবুর মুঝে, উসকে বুলা হোগা”, “দিল ঢুনতা হ্যায়”, “দুকি পে দুকি হো ইয়া সাত্তে পে সাত্তা” গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে। ভূপিন্দর সিং ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ এবং প্রাথমিকভাবে একজন গজল গায়ক। ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে গিটার বাজানো শিখেছিলেন। দিল্লিতে আসার পর তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গায়ক ও গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। সঙ্গীত রচয়িতা মদন মোহন ১৯৬৪ সালে তাকে প্রথম বড় ব্রেক দেন।
ভূপেন্দ্র সিং ১৯৪০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অধ্যাপক নাথা সিংও একজন মহান সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ছবিতে গুলজারের লেখা 'ওহ জো শাহর থা' গানটির মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ভূপেন্দ্র ১৯৮০ সালে বাংলা গায়িকা মিতালি মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন। তবে দুজনের কোনো সন্তান নেই।