অভাবকে খুব কাছ থেকে দেখেছিল ইরফানের পরিবার। ছোট থেকে মা-বাবার কষ্টের সাক্ষী থেকেছিলেন তিনি। তারই মধ্যে যুদ্ধ করে বড় হয়ে ওঠা। চার ভাই বোনের কাছে ছিল ভবিষ্যৎ স্পষ্ট। কোনও মনে বড় হয়ে পরিবারের হাল ধরতে হবে। পাশে দাঁড়াতে হবে মা-বাবার। নিত্য অশান্তি, অভাব দেখে বড় হতে থাকা ছোট্ট ছেলেটা রাতের অন্ধকারে স্বপ্ন দেখতেন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের।
আরও পড়ুনঃ গর্ভধারিনীর মৃত্যুর পরেই ভর্তি হতে হয়েছিল আইসিইউতে, মা-ছেলের ফের দেখা হল জীবনের ওপারে
বন্ধুরা ঠাট্টা করে বলত, গলাটা খুব খারাপ, ভাঙা, কীভাবে হওয়া যাবে অভিনেতা। তবুও স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি ইরফান। ছেলে বড় হতে থাকে, ততই আশা বাড়তে থাকে পরিবারের। এবার ঠিক সংসারের হাল ফেরাবে ইরফান। বাবা বলেছিলেন, অনেক হয়েছে লেখাপড়া। এবার কিছু হাতের কাজ শিখতে হবে। তাহলেই আর চিন্তা থাকবে না। অভাব আসবে না, চিন্তা থাকবে না চাকরি যাওয়ার, করে খেতে পারবে অন্তত।
সবই শুনছিলেন ইরফান, বুঝতেও পারছিলেন, কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন পরিস্থিতির সামনে মাথা নত করতে নারাজ ছিলেন তিনি। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন আর স্বপ্ন নয়, চেষ্টা করতে হবে, দাঁড়াতে হবে তাঁকে, বলিউডে স্টার হিসেবে হবে তাঁর নাম, খ্যাতি। স্কুল জীবনে ছোটখাটো পাঠ করেই গর্ব বোধ করতেন তিনি। ভাবতেন এটাই শুরু। আর সেই যেদ, ইচ্ছে আর স্বপ্নই একদিন হল সত্যি। হাতের কাজ নয়, অভিনয়ের জাদুতেই কাবু করবে ছেলে, তখন ভাবতেই পারেনি দিল্লির এক কোণে পড়ে থাকা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল
কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস