মাসের প্রথম তারিখেই দর্শককে আবার একটি অ্যাকশন ছবি উপহার দিলেন জন আব্রাহাম। প্রথম দিনে ছবি নিয়ে মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অ্যাটাক ছবিতে ভারতীয় সেনা বাহিনীর একজন স্পেশ্যাল আর্মি অফিসার জন তথা অর্জুন শেরগিল যাকে সন্ত্রাসবাদীদের হাত প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। অর্জুন কি পারবে এই কাজে সফল হতে তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবির প্রেক্ষাপট।
ছবির ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই অ্যাটাক (Attack) ছবিটি দর্শকদের নজর কেড়েছিল। ট্রেলারে একজন সুপার সোলজারের ভূমিকায় দেখা যায় জনকে এবং শুরুতেই জঙ্গি হানার দৃশ্য এ কথা জানান দেয় যে দেশ রক্ষার প্রয়োজনে এক সৎ আর্মি অফিসারের (Army Officer) কাহিনি বর্ণিত হবে এই ছবিতে। এখানে যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে তার ঝলক দেখা মিলেছিল ট্রেলারেই। ছবিতে জনের চরিত্রের শরীরও সাইবারনেটিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ৷ সুতরাং এই ছবিতে যে একটি অসাধারণ অ্য়াকশন থ্রিলারের সঙ্গে বেশ কিছুটা সায়েন্স ফিকশনেরও (Science Fiction) গন্ধ মিলবে তার আভাস আগে থেকেই পেয়েছিল দর্শক।
এই ছবিতে একজন সুপার সোলজারের (Super Soldier) ভূমিকায় অভিনয় করেন জন। গল্পে দেখা যায় সন্ত্রাসবাদীরা একটি হামলার ছক কষে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করার গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে সুপার সোলজার অর্জুন শেরগিল তথা জনের উপর। সন্ত্রাসবাদীদের পরিকল্পিত বিস্ফোরণ আটকাতে হবে হবে তাঁকে। কীভাবে পাল্টা আক্রমণ করে পার্লামেন্টকে রক্ষা করবে অর্জুন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেই কাহিনিই তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে।
আরও পড়ুন- আইনি জটে কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া, একাধিক ধারায় রুজু মামলা
আরও পড়ুন- করিনার জীবনে কে এই স্পেশাল ওয়ান, যার জন্য বিরিয়ানি রেঁধে খাওয়ালেন বেবো
এই ছবিতে জন আব্রাহামের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যাবে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রকুলপ্রীত সিং। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলির মধ্যে রয়েছেন রত্না পাঠক শাহ, প্রকাশ রাজের মত অভিনেতা অভিনেত্রীরা। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ আনন্দ। এই ছবিতে জন আব্রাহাম কেবল একজন অভিনেতাই নন পাশাপাশি এই ছবির একজন প্রযোজক ও তিনি।
যদিও ছবির ট্রেলারকে যতটা মানুষ গ্রহণ করেছিল ছবি মুক্তির প্রথম দিনে ততটা সফলতা পায় নি। কেউ বলেছেন ছবিতে জন আব্রাহামের (John Abraham) অভিনয় অবশ্যই সকলের মন জয় করার মত। কেউ আবার এই ছবির সমালোচনা ও করেছেন। বলিউড চিত্র সমালোচক কেআরকে এই ছবির তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন 'নেহাতই খুব খারাপ এবং জঘন্য।' পাশাপাশি বলিউড চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ও একহাত নিয়েছেন তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'বলিউডের সব থেকে বড় সমস্যা হল তাঁরা হলিউডের সিনেমা পছন্দ করেন, সেখানকার লোকেশন এত পছন্দ করেন যে তাঁদের মত সিনেমা বানাতে চান কিন্তু পারেন না।'
উল্লেখ্য, কেআরকে (KRK) শুধু এই ছবিই নয় সম্প্রতি কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত এস এস রাজামৌলির ছবি আরআরআরের ও সমালোচনা করেছিলেন যেটি বক্স অফিসে চূড়ান্ত সফল। সেই ছবিকেও সমালোচনা করে কেআরকে লিখেছিলেন '৬০০ কোটির বেশি বাজেটের এতটা খারাপ ছবি তৈরি করার জন্য ন্যূনতম ৬ মাসের জন্য জেল হওয়া উচিত পরিচালক এস এস রাজামৌলির।'