ভারতীয় সিনেমায় নক্ষত্র পতন। প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ কুমার। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৯৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মুম্বইয়ের হাসপাতালে মৃত্য হয় দিলীপ কুমারের। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা কৌশিক সেন।
কৌশিক সেন জানিয়েছেন, আমাদের ছোটবেলায় দিলীপ কুমার ছিলেন আলাদা একটা ঘরানা। চলচ্চিত্র কমারশিয়ালি ওইরকম সময়ে একটা অসাধারণ উপস্থিতি ছিল। দিলীপ কুমারের স্বাতন্ত্রতা, অভিনয়, কথা বলার ধরণ, তাঁর সময়ে দাঁড়িয়ে অসম্ভব আধুনিক ছিল। উনি যথেষ্ট পরিণত বয়েসে মারা গিয়েছেন। উনি মৃত্যুর আগে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর মৃত্যু অবশ্যই বড় ক্ষতি। তবে তার পাশে একটা সান্ত্বনাও থাকে যে, উনি ওনার জীবনের বৃত্তটা সম্পূর্ণ করে গিয়েছেন। এবং দীর্ঘদিন অসুস্থ যেহেতু উনি ছিলেন, একটা প্রস্তুতিও মনে মনে ছিল। একাধিক ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। তবে তাঁর অন্যতম সৃষ্টি গুলি নিয়ে কৌশিক সেন বলেন, বাঙালির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেবদাস ছবির কথা বলতে চাই। দেবদাস উপন্যাসের সঙ্গে বাঙালিদের একটা গভীর সংযোগ রয়েছে। ছোটবেলায় সাদা কালো ছবিতে দেখেছি দেবদাস। দেখে মনে হয়েছে দিলীপ কুমার ওই সময়টাকে তুলে ধরেছেন। দেবদাসের যে কষ্টটা সেটা আধুনিক তরুণের কষ্ট বলে মনে হত, সেটা ওর বিশার ক্ষমতা ছিল।'
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন প্রবীণ এই অভিনেতা। শেষ সময়ে এই বর্ষীয়ান অভিনেতার পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। ৩০ জুন শ্বাসকষ্টের জন্য আবারও দিলীপ কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তার আগের দিন রাত থেকে ৯৮ বছরের এই অভিনেতার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মুম্বাইয়ের খার-এ 'হিন্দুজা হাসপাতাল'-এর আইসিইউ তে ভর্তি করা হয় অভিনেতা দিলীপ কুমারকে। এর আগে ৬ জুন এই একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দিলীপ কুমার। তখনই জানা গিয়েছিল, করোনা নয়, জল তাঁর ফুসফুসে জল জমেছে। তখন তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জানানো হয়, কোনও গুজবে যেন কান না দেওয়া হয়। ভালো আছেন অভিনেতা। তার ১২ দিন পর ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার শেষ রক্ষা হল না। চির ঘুমের দেশে দিলীপ কুমার।