সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত মাদক মামলায় কয়েকদিন আগে তাঁর ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিস কন্ট্রোল বিওরো (এনসিবি)। তারপর থেকেই ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সুশান্তের মৃত্যু মামলা। সিদ্ধার্থের পর এবার সুশান্তের দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল এনসিবি। পরপর দু'দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-লকডাউন কেড়েছে চাকরি, বেকার স্বামী-স্ত্রীর কাতর আর্জিতে সারা রাজের, মুহূর্তে ভাইরাল পোস্ট
বুধবার সুশান্তের দেহরক্ষীকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর ফের বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করল এনসিবি। এর আগে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬ মে হায়দরাবাদ থেকে সিদ্ধার্থকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাঁকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হয়। এই মুহূর্তে এনসিবির হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তারপর রবিবার এনসিবির জেরার মুখে পড়েছিলেন অভিনেতার পরিচারক নীরজ ও রাঁধুনি কেশব। সুশান্তকে মাদক সরবরাহের পিছনে এই দুই ব্যক্তির হাত রয়েছে বলে তদন্তের সময় জানতে পারেন আধিকারিকরা। এমনকী, গত বছর নীরজ ও সিদ্ধার্থকে একাধিকবার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁদের বয়ানে বেশ কিছু অংসগতি রয়েছে বলে এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছিল। এরপর সম্প্রতি মুম্বইয়ের বান্দ্রা অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় মাদক বিক্রেতা হরিশ খানকে। সুশান্তকে মাদক সরবরাহে তাঁর ভূমিকা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
২০২০-র ১৪ জুন সকালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনার প্রায় এক বছর হতে চলল। তবুও এখনও পর্যন্ত সুশান্তের মৃত্যু মামলার জট কাটেনি। ২০২০-র ২৫ জুলাই বিহারে সুশান্তের বাবা রিয়া ও তাঁর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। তদন্তে নেমেছিল বিহার পুলিশ। এরপর সেই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর এই মামলার সঙ্গে আর্থিক তছরূপের মামলার তদন্তে নেমে রিয়ার সঙ্গে মাদকযোগের ইঙ্গিত পেয়েছিল ইডি। সেই সূত্র ধরে গতবছর সেপ্টেম্বরে রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। আপাতত জামিন পেয়ে তাঁরা বাইরে রয়েছেন।