ফের এক লেজেন্ডকে হারাল ভারত। বুধবার ইরফান খানের পর চিরতরে চলে গেলেন ঋষি কাপুর। সঙ্কটজনক অবস্থায় বুধবারই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।বুধবারই অভিনেতা ইরফান খান প্রয়াত হয়েছেন। আর তারই মাঝে ঋষি কাপুরের চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া সারা দেশে। ঋষি কাপুরকে নিয়ে একাধিক কথা বললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানালেন, গতকাল একটা এত বড় মানুষের মৃত্যু হল। সেটা সামলাতে না সামলাতেই ফের এত বড় মানুষ-এত বড় লেজেন্ডের মৃত্য়ু হয়ে যাবে সত্যি সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমরা যে কি দুঃসময়ের মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছি জানি না,তবে ইশ্বরের কী বিচার সেটাও বুঝতে পারছি না। কি বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। সব কিছু খুব পাজলড্ লাগছে। তবে এটুকু বলতে পরি যে ঋষি কাপুরের ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বড় এবং অন্য়তম এন্টারটেইনমেন্ট ছিলেন। ওনার ছবি খুব ছোট বেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি। সব থেকে বড় অ্যাসেট হল যে ওনার হাসি, ওনার অভিব্য়ক্তি, ওনার স্ক্রিণ প্রেজেন্স এতটাই আকর্ষণীয় যে খুব ছোট বেলা থেকে আমরা থেকেই বিশাল বড় ফ্য়ান। অনেক স্মরণীয় চরিত্রে তিনি অভিনয় করে গেছেন। তবে ওনাকে নিয়ে আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আছে, সেটা আমি শেয়ার করতে চাই। আমি যখন মুম্বাই-এ কাজ করতে যাই, আমার প্রথম হিন্দি ফিল্ম 'তিসরা কৌন' বলে একটা ছবি করেছিলেম। যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী, চাঙ্কি পান্ডে, অমর পালেকর সহ আরও অনেকে আমার সঙ্গে ছিলেন। আমাদের ফিল্মের ইনোগোরেশনের দিন ঋষি কাপুর এসেছিলেন। অনেক শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ওই দিনটা আজও আমার মনে পড়ে যায়।
অপরদিকে, অস্ট্রেলিয়াতে মেলবোর্ণ ফিল্ম ফেস্টিভ্য়ালে কাপুর এন্ড সনস যখন দেখানো হয়েছিল, তখন আমার রাজকাহিনী ফিল্মটিও দেখানো হয়েছিল। সেই সূত্রেই আমাদের ওখানে যাওয়া। সৌভাগ্য়ক্রমে প্রত্য়েক সন্ধেবেলা ওনার থেকে অনেক গল্প শুনতাম। একজন খুব প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। মুম্বাই-এ ওনার নিজের বাড়িতে আমাদের ইনভাইট করেছিলেন। আমরা সপরিবারে গিয়েছিলাম। ঋষি কাপুর এবং নিতু জি-র থেকে আমরা সব সময়ই ভালবাসা-স্নেহ পেয়েছি। ঋষি কাপুর প্রত্য়েককে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন । রাজমা চাউল থেকে শুরু করে ১০২ নট আউট একে বারে নতুন ধারার ছবিতেও উনি স্বাক্ষর রেখে গেছেন। ওনার চলে যাওয়াটা সত্য়িই মেনে নিতে পারছি না। ওনার চলে যাওয়াটা আমাদের কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি।