বিগ বসের পর শেহনাজের সঙ্গে সিদ্ধার্থের বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। ক্রমে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। আর তার মধ্যেই ঘটে যায় সবথেকে বড় অঘটন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সব কিছুই পাল্টে যায়। ওই দিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সিদ্ধার্থ।
সিদ্ধার্থ শুক্লার (Sidharth Shukla) মৃত্যুর পর খুবই ভেঙে পড়েছিলেন শেহনাজ গিল (Shehnaaz Gill)। আসলে প্রিয় মানুষের চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে কিছুই করতে পারছিলেন না। সারাক্ষণই কান্নাকাটি করে তাঁর সময় কাটত। কিন্তু, সেই পরিস্থিতির মধ্যে যেই তিনি একটি ভালো থাকার চেষ্টা করতেন, তখনই ট্রোলিংয়ের (Trolled) শিকার হতেন তিনি। সেগুলি দেখার পর তাঁর ভেঙে যেত। কিন্তু, তাও নিজেকে যতটা সম্ভব ঠিক রাখার চেষ্টা করতেন। সম্প্রতি শিল্পা শেট্টির (Shilpa Shetty) চ্যাট শো 'শেপ অফ ইউ'-তে (Shape of You) গিয়ে একথা বলেন তিনি।
বিগ বসের পর শেহনাজের সঙ্গে সিদ্ধার্থের বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। ক্রমে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। আর তার মধ্যেই ঘটে যায় সবথেকে বড় অঘটন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সব কিছুই পাল্টে যায়। ওই দিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সিদ্ধার্থ। বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না শেহনাজ। নিজেকে ঠিক করতে অনেকটা সময় লেগেছিল তাঁর। সারাক্ষণই কান্নাকাটি করতেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে নিজের মনকে বুঝিয়ে অনেকটা শক্ত করে তুলেছেন। এখন তাঁর মন আগের থেকে অনেকটাই শক্ত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- একেই বলে স্বর্গসুখ, দেখেই 'লালা ঝরছে' দীপিকার
এদিকে সিদ্ধার্থের মৃত্যুর কয়েক মাস পরই ছিল শেহনাজের ম্যানেজারের বিয়ে। সেই পার্টিতে নাচতে দেখা গিয়েছিল শেহনাজকে। আর তা নিয়ে নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন তিনি। অত তাড়াতাড়ি কেন তিনি সিদ্ধার্থকে ভুলে আনন্দে মেতে উঠলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনরা। শিল্পার এই শো-তে গিয়ে এনিয়ে মুখ খুললেন শেহনাজ। তিনি জানান, সিদ্ধার্থ সব সময় তাঁকে হাসিখুশি দেখতে চাইতেন। সেই কারণে অভিনেতার মৃত্যুর পরও নিজেকে যতটা সম্ভব হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করতেন তিনি।
আরও পড়ুন- রক্ত দিয়ে আঁকা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পোস্টার, হতবাক বিবেক অগ্নিহোত্রী
শেহনাজ বলেন, "হাসার সুযোগ পেলে হাসব, তাহলে আমি সুখে থাকব। আমি যদি দীপাবলি উদযাপন করতে চাই, তবে আমি তা উদযাপন করব। কারণ জীবনে সুখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও সেটা করার চেষ্টা করি। আজ প্রথমবার আমি এই বিষয়ে কথা বলছি। শুধুমাত্র আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন তাই বলছি। না হলে এনিয়ে আমি কোও কথাই বলতাম না। সে যে যাই বলুক না কেন।"
এদিকে সিদ্ধার্থের কথা বলতে বলতে কান্নায় ভিজে আসে শেহনাজের গলা। তাও নিজেকে যতটা সম্ভব ঠিক রেখে তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে সিদ্ধার্থের সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল তা আমি কাউকে কেন বলব? আমার কারও কাছে জবাবদিহি করার দরকার নেই। সে আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আমি তার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলাম, আমি জানি। তাই আমাকে কারও কাছে কোনও ব্যাখ্যা দিতে হবে না।"
আরও পড়ুন- মন ভাঙল শ্রদ্ধা কাপুরের, দীর্ঘ ৪ বছরের সম্পর্কে অবশেষে দেখা দিল ভাঙন
আসলে সব সময় শেহনাজকে হাসিখুশি দেখতে চাইতেন সিদ্ধার্থ। তাই অভিনেতার মৃত্যুর পরও নিজেকে যতটা সম্ভব হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করতেন শেহনাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সিদ্ধার্থ আমাকে কখনও হাসতে বারণ করেনি। আমি সব সময় হাসিখুশি থাকি সেটাই ও চাইত। তাই আমি সব সময় হাসব। আর নিজের কাজ করে যাব। কারণ আমাকে আরও অনেক পথ যেতে হবে।"