রানী এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকেই 'নিঝুমপুরী' বাকিংহাম প্যালেস, থাকতে চান না ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা

Published : Oct 23, 2022, 07:43 PM IST
রানী এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকেই 'নিঝুমপুরী' বাকিংহাম প্যালেস, থাকতে চান না ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা

সংক্ষিপ্ত

রানীর মৃত্যুর পর থেকেই বাকিংহাম প্যালেসে থাকছেন না ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা। রাজা তৃতীয় চার্লস স্ত্রীকে নিয়ে থাকছেন কাছেই একটি দূর্গে।   

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকেই নিঝুমপুরীর মত অবস্থা ইংল্যান্ডের রাজপ্রাসদ বাকিংহাম প্যালেস। অনেকটা একই অবস্থায় উইন্ডসর ক্যাসেলের। সেখানও ব্রিটশ রাজপরিবারের কোনও সদস্যই থাকেন না। দুইটি রাজপ্রাসাদ রাজপরিবারের সদস্যদের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। কিন্তু কেন এমন অবস্থা? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। 

সম্প্রতি ডেইলিমেইল ডট কম নামের একটি নিউজ পোটালে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজা তৃতীয় চার্লস অস্থায়ীভাবে ক্লারেন্স হাইসেই থাকবেন বলে ঠিক করছেন। অর্থাৎ ব্রিটেনের রাজার অস্থায়ী ঠিকানা ক্লারেন্স হাউস। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, বাকিংহাম প্যালেস ৩৭০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে সংস্কার করা হবে। আগামী ২০২৭ সালে সংস্থারের কাজ শেষ হবে বলেও আশা করা হবে। তবে রাজা তৃতীয় চার্লস নিজের প্রশাসনিক কাজ ও মিটিং-এর জন্য প্রয়োজন হলে এই প্রাসাদ ব্যবহার করতে পারবেন। 

ডেইলিমেইলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংস্কারের কাজ সময়সূচি থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে রাজা চার্লস চাইলে এই প্রাসাদে থাকতেই পারেন। সেই ব্যবস্থাও প্রশাসন করে দেবে। সংস্কারের কাজের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন বাকিংহাম প্রাসাদ লন্ডল এমনকি ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। এটি শুধুমাত্র কোনও পর্যটক স্থান নয়। ব্রিটিশ ঐতিহ্যও বটে! 

ব্রিটেনে জল্পনা প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স কেট ইউন্ডোসরে চলে যাবে। কিন্তু দ্যা সানের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা আপাতত অ্যাডিলেট কটেজেই থাকবেন। অ্যাডিলেট কটেজ থেকে যাওয়ার কোনও চিন্তাভাবনা তাদের নেই। 

অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলটিও খালি রয়েছে। সেখানেও থাকার মত ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতিনিধি নেই। পাশাপাশি রাজপরিবারের সদস্যরা এই প্রাসাদকে স্থায়ীভাবে ও সরকারিভাবে থাকাতেও চান না। সেই কারণেই এটিকে আদূরভবিষ্যতে পর্যটককেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসনের। 


রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী কনসোর্ট ক্যামিলা তাদের অন্য কয়েক দুর্গেও সময় কাটাতে ভালবাসে। আর বাকিংহাম প্রাসাদ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সেই দুর্গগুলিও তাঁদের সাময়িক ঠিকানা হতে পারে। তবে তাদের প্রধান ঠিকানা অবশ্যই ক্ল্যারেন্স হাউস- বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে মাত্র ৪০০ গজ দূরে। এই প্রাসাদেই তাঁরা দীর্ঘ ১৯ বছর বাস করছেন। 

সূত্রের খবর বাকিংহাম প্যালেস এখনও পর্যন্ত অর্ধেক সংস্কার করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম এই প্রাসাদ সংস্কার করা হল। 

প্রাসাদে নতুন ওয়ারিং, প্লাম্বিং, হিটিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু স্থান মেরামতিও করা হয়্ছে। সংস্কারের তহবিলের অর্থ করদাতাদের কাছ থেকেই আসবে। সার্বভৌম্য অনুদানের মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সংকার রাজাকে যে বার্ষিক ফি দেয় তার থেকেও সংস্কারের খরচ তোলা হবে। তবে আপাতত অনুদানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ রাজপ্রাসাদ সংস্কার আর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা হয়।  

Netaji death mystery: গুমনামি বাবাই কি আসলে নেতাজী? CFL ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ না করায় উঠছে প্রশ্ন

ব্রিটেনের মসনদে কি বসবেন ঋষি ?কি হতে চলেছে ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনীতে ? ব্রিটিশ ভোটের সাত -সতেরো

অযোধ্যায় নরেন্দ্র মোদী, রামলালার মূর্তির সামনে আরতি করলেন প্রধানমন্ত্রী

PREV
click me!

Recommended Stories

LIVE NEWS UPDATE: India vs South Africa T20 - দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেন করবেন শুভমান গিল?
অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’, আর কোন কোন শব্দ পেল সেরা স্থান? জানুন এক ঝলকে