সংক্ষিপ্ত


নেতাজী কি আসলে গুমনামি বাবা- এই প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘ দিন ধরেই খুঁজছে অনেকে। সম্প্রতি এক গবেষক আসল সত্য জানতে তথ্যের অধিকার আইনে মামলা করেছিলেন। তিনি সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবের কাছ থেকে গুমনামি বাবার ডিএনএ রিপোর্ট চেয়েছিলেন। 

গুমনামি বাবার ডিএনএ নমুনান ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট শেয়ার করবে না সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাব। তেমনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সংস্থার পক্ষ থেকে।  অনেকেই মনে করেন নেতাজী গুমনামী বাবা। এই ছদ্মবেশে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনের শেষদিনগুলি কাটিয়ে ছিলেন। আর সেই কারণেই ৮(১)(এ), (ই) ও তথ্যের অধিকার আইন ২০০৫ সালের ১১(১)র মাধ্যমে ডিএনএ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। 

কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক  ল্যাব জানিয়েছে গুমনামি বাবার ডিএনএ-র ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট শেয়ার করা যাবে না।   তথ্যের অধিকারটি দায়ের করেছিলেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা সায়ক সেন। তিনি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে গবেষণা করছিলেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আইটিআই ফাইল করেছিলেন। আরটিআই আইনের ৮(১) ধারায় বলা হয়েছে যে এমন কোনও তথ্য প্রকাশের ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে বা ভারতের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে, সেজাতীয় তথ্য প্রকাশ করা হবে না। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখারই প্রধান কাজ। 


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে। তারমধ্যে একটি হল গুমনামি বাবা। প্রচলিত বিশ্বাস বা ধারনা অনুযায়ী মনে করা হয় নেতাজী জীবনের শেষ দিকে উত্তর প্রদশেরে অযোধ্যা, ফৈজাবাদ-সহ বেশ কিছু স্থানে বাস করতেন। ১৯৮৫ সালে গুমনামি বাবার মৃত্যু হয়। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টে বিষয়টির উল্লেখ থাকলেও সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। কমিশনও গুমনামি বাবার হস্তাক্ষর ও ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পায়নি। 

অন্যদিকে সায়ক সেন, যিনি আরটিআই ফাইল করেছিলেন তিনি  বলেছেন, সিএফএসএল তাঁর দায়ের করা আরটিআই প্রত্য়াখ্য়ান করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তিনটি কারণে রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে না বলেও জানিয়েছে।  সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইলেক্ট্রোফেরোগ্রামটি না প্রকাশ করার অন্যতম কারণ হল- এটি সর্বজনীন করা হলে ভারতের সর্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারেষ বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে।

সংস্থার এই উত্তর হাতে পাওয়ার পরেই সায়ক সেনের প্রশ্ন, উত্তর প্রদেশের একটি প্রত্যান্ত অঞ্চলে থাকা একজন ব্যক্তি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ- যিনি মৃত্যুর এত বছর পরেও ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রভাবিত করতে পারেন? তিনি মনে করেন, গুমনামি বাবা একটি সাধারণ মানুষের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সায়ক সেন জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস  করেন উত্তর প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করা গুমনামি বাবাই আসলে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।  

একটি ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম হল ইলেক্ট্রোফোরেসিস স্বয়ংক্রিয় সিকোয়েন্সিং দ্বারা করা একটি বিশ্লেষণ থেকে ফলাফলের একটি প্লট। একটি ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম ডেটার একটি ক্রম সরবরাহ করে যা একটি স্বয়ংক্রিয় ডিএনএ সিকোয়েন্সিং মেশিন দ্বারা উত্পাদিত হয়। ইলেক্ট্রোফেরোগ্রামগুলি এখান থেকে ফলাফল অর্জনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে: বংশগত ডিএনএ পরীক্ষা এবং পিতৃত্ব পরীক্ষা।

"বাবার চিতাভষ্ম এখনও কেন টোকিওতে পড়ে থাকবে ?"- প্রশ্ন সুভাষকন্যার

মহিলাকে ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ১০ জনের বিরুদ্ধে, আক্রান্ত প্রেমিকও

২১এর আগেই বিয়ে হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গে ও ঝাড়খণ্ডের মেয়েদের, কেন্দ্রীয় রিপোর্ট মানতে নারাজ রাজ্য