দক্ষিণ লণ্ডনের এক নইটক্লাবে মাদক মেশানো পানীয় খেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা এক ১৮ বছরের মেয়ের। দেখলে মনে হবে ভূত ভর করেছে, ভাইরাল হল ভিডিও।
ভিডিওটি দেখলে মনে হতে পারে, মেয়েটির উপর ভূত ভর করেছে। মুখের এবং হাতের একটা পেশীও নাড়াতে পারছে না মেয়েটি। হাতের আঙ্গুলগুলি বেঁকে গিয়েছে এবং দেখে মনে হচ্ছে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। কিন্তু না তাঁকে ভূতে ধরেনি। ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তাঁর মা। জানিয়েছেন, নাইটক্লাবে গিয়ে মাদক মেশানো পানীয় খেয়ে তাঁর মেয়ে একেবারে বরফে জমে যাওয়ার মতো হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গিয়েছে ভিডিও যে মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে, তার নাম মিলি ট্যাপলিন। বয়স মাত্র ১৮ বছর। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘয়েছে দক্ষিণ লন্ডনের এক নাইট ক্লাবে। ঘটনার দিন দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলি নাইটক্লাবে গিয়েছিলেন। সেখানে এক অচেনা ব্যক্তি মিলিকে একটি ড্রিঙ্ক খেতে দিয়েছিলেন। মিলিও সেটা নিয়ে নেয়। পানীয়ের গ্লাসে দু-এক চুমুক দিয়ে তিনি গিয়েছিলেন ধূমপান করার জায়গায়। সেখানে ধূমপান করতে গিয়েই মিলি বুঝতে পরেন, তাঁর খুবই নেশা হয়ে গিয়েছে। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাত ও পায়ের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তিনি। তাঁর বন্ধুরা মিলির দিদিকে ফোন করে ডাকেন। তাঁরা সকলে মিলে মিলিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালে ভর্তির পর ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন মিলিকে যে পানীয়টি দেওয়া হয়েছিল, তারমদ্যে দুটি ভিন্ন ধরণের মাদক মেশানো ছিল। যার মধ্যে একটি তাঁর পক্ষাঘাতের কারণ। মিলির মা ক্লেয়ার, তাঁর এই ভিডিওটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অন্যান্য অল্পবয়সী যুবতীদের সাবধান করতে চেয়েছেন। নাইটক্লাবে অচেনা লোকের দেওয়া ড্রিঙ্ক কী ক্ষতি করতে পারে, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য়েই এই ভিডিও বানিয়েছেন তিনি বলে দাবি করেছেন ক্লেয়ার।
আরও পড়ুন - কন্ডোম না থাকলে জেতাই হত না অলিম্পিক সোনা, অজি ক্রীড়াবিদের ভিডিও ভাইরাল
আরও পড়ুন - বয়স শুধুই একটা সংখ্যা, বাইক চালিয়ে প্রমাণ করে দিলেন বৃদ্ধা
আরও পড়ুন - ৭ বছরের শিশুর বুদ্ধির জোরেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ক্যানিং লোকাল
'দ্য মিরর'কে ক্লেয়ার বলেছেন, মেয়েকে দেখে তিনি অসাড় হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন তিনি আগে কারোর এরকমটা হতে দেখেননি। তাই তাঁর মেয়েকে কী ভয়ঙ্কর মাদক খাওয়ানো হয়েছে, ভেবেই শিউরে উঠছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মিলির গোটা শরীর জমে গিয়েছিল, হাতগুলো দেখে মনে হচ্ছিল থাবা। তবে সবথেকে যেটা তাঁকে কষ্ট দিয়েছে, ক্লেয়ার জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে সবটা বুঝতে পারছে, কিন্তু, কিছু করতে পারছে না।