সংক্ষিপ্ত
টোকিও অলিম্পিক ২০২০-তে কায়াকিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন অস্ট্রেলিয় ক্রীড়াবিদ জেসিকা ফক্স। একটি কন্ডোম না থাকলে অবশ্য তাঁর সোনা জেতা হতই না।
টোকিও অলিম্পিক ২০২০-র মাত্র সাত দিন সম্পন্ন হল। এর মধ্যেই ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট শো-এর বেশ কিছু মুহূর্তের ভিডিও এবং ফটো ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। ক্রীড়াবিদদের আবেগ, ক্রোধ, বিভ্রান্তি, বেদনা, জয়ের ঔজ্জ্বল্যের মতো বেশ কিছু মুহুর্ত মন কেড়েছে নেটিজেনদের। এরকম সর্বশেষতম ভাইরাল মুহূর্তটি উপহার দিয়েছেন অস্ট্রেলিয় ক্রীড়াবিদ জেসিকা ফক্স। কায়াকিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জেতার তিনি বলছেন, 'ভাগ্যিস কন্ডোম ছিল'। নাহলে সোনা জেতাই হতো না ২৭ বছরের এই অজি ক্রীড়াবিদের।
বুধবার, টোকিও অলিম্পিকে কায়াকিং প্রতিযোগিতায় সোনা জেতেন জেসিকা ফক্স। চুড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। কেউ তাঁর ধারে কাছে ছিলেন না। কিন্তু, তার আগের রাউন্ডটা এতটা মসৃণ যায়নি। ফাইনালের আগের রাউন্ডে প্রতিযোগিতার মধ্যেই দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁর কায়াকটি। আর সেখানেই কাজে এসেছিল কন্ডোম! কায়াকিং-এর সঙ্গে দূরদূরান্ত অবধি কন্ডোমের কোনও যোগ না থাকলেও, ফক্স ও তাঁর দলের কাছে ওইদিন একটি কন্ডোমই হয়ে উঠেছিল আশীর্বাদের মতো।
আরও পড়ুন - মেরি কমের পরাজয় নিয়ে জোর বিতর্ক - তাঁকে কি বঞ্চিত করা হল, কী বললেন কিংবদন্তি
"
সোশ্যাল মিডিয়া টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি কন্ডোম তাঁকে অলিম্পিকে সোনা জিততে সহায়তা করেছে। তাঁর কায়াকের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি মেরামত করতে এবং প্লাস্টার করতেই জেসিকা ফক্স এবং তাঁর দলের লোকেরা কন্ডোম ব্যবহার করেছিল। কীভাবে হয়েছিল মেরামতে কাজ?
জেসিকার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর কায়াকের নাকের অংশটি বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই অংশটি মেরামত করতে তাঁর দলের একজন, ওই অংশের উপর একটি কালো রঙের পুটি লাগাচ্ছেন। তারপর তিনি একটি কন্ডোম বের করে ওই পুটিটিকে সুরক্ষিত করার জন্য, সেটিকে টেনে প্রসারিত করে কায়াকের নাকের উপরে লাগিয়ে দিচ্ছেন। এই ভিডিও ক্লিপটি এখন দারুণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেট জুড়ে। সকলেই জেসিকা ফক্স ও তাঁর দলের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করছেন।