দুই মহিলা ও কিশোরীর সঙ্গে নকল পুরুষাঙ্গ দিয়ে সঙ্গম, ভয়াবহ পরিণতি রূপান্তরকামীর!

মামলার শুনানির সময়, আদালত জানতে পেরেছিল যে তারজিত একজন নির্যাতিতাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। মোবাইল ফোন দিয়ে নির্যাতিতার নাকও ভেঙে ফেলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তারজিতকে থাপ্পড় ও ঘুষি মারার জন্যও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

Parna Sengupta | Published : Jul 29, 2022 9:40 AM IST / Updated: Jul 29 2022, 03:15 PM IST

নকল পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করে তিন মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠল এক ভারতীয় রূপান্তরকামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে। তবে ওই ভারতীয় ট্রান্সজেন্ডারকে দুই মহিলা ও এক কিশোরীর সঙ্গে নকল পুরুষাঙ্গ দিয়ে যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। শুধু সঙ্গমই নয়, তিনি যৌন সম্পর্ক করার সময় রীতিমত ওই মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ ওই ট্রান্সজেন্ডার। 

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ৩২ বছর বয়েসী তারজিৎ সিং শিশু কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সূত্রের খবর তার ছোটবেলার নাম ছিল হান্না ওয়াল্টার্স। কিন্তু এখন তিনি একজন পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নিজেকে। সেক্সের সময় কৃত্রিম লিঙ্গ ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তারজিতের বিরুদ্ধে।

প্রতিবেদন অনুসারে, স্নারেসব্রুক ক্রাউন কোর্টে বিষয়টির শুনানি হয়। তারজিৎকে একটি সম্পর্কের সময় তিনটি আক্রমণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ছয়টি শারীরিক ক্ষতির আক্রমণ এবং একটি হত্যার হুমকির জন্য মামলা করা হয়েছে। মামলার শুনানির সময়, আদালত জানতে পেরেছিল যে তারজিত একজন নির্যাতিতাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। মোবাইল ফোন দিয়ে নির্যাতিতার নাকও ভেঙে ফেলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তারজিতকে থাপ্পড় ও ঘুষি মারার জন্যও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আদালত অভিযুক্তকে বিপজ্জনক অপরাধী হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে
বিচারক অস্কার দেল ফ্যাব্রো তার সিদ্ধান্তে বলেছেন, তারজিত ভবিষ্যতে মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তিনি একজন বিপজ্জনক অপরাধী যিনি বারবার হিংস্রতা দেখিয়েছেন ও হামলা চালিয়েছেন তিন নির্যাতিতার ওপর। বিচারক জানান, তারজিত মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ এবং বারবার অনেক লোককে মিথ্যা বলেছেন।

আদালতে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতারা বলেন তারজিত তাদের ওপর এত অত্যাচার করত যে তাঁদের মানসিক অবসাদের ওষুধ খেতে হত। বিচারক তার রায়ে আরও বলেন যে তারজিত কখনও লিঙ্গ নিয়ে খোলামেলা এবং সততার সাথে কথা বলেননি। পরিবর্তে তিনি প্রতারণার পথ বেছে নেন। তারজিত নিজেকে একজন পুরুষ হিসাবে অন্যদের সামনে তুলে ধরেন। মামলার শুনানির সময় এক ভুক্তভোগী তার জবানবন্দিতে বলেন, 'এই ঘটনায় আমার মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি মারাত্মক বিষাদে ভুগছিলাম। আমাকে মানসিক অবসাদের ওষুধ খেতে হয়েছিল।"

এই ৭ ধরনের খাবার খেলে ভুলে যেতে পারেন সবকিছু, চরম ক্ষতি হতে পারে মস্তিষ্কের
TET Scam: দফায় দফায় জেরা মানিক ভট্টাচার্যকে, সকাল ১০টা ঢুকে সিজিও থেকে ছাড়া পেলেন রাত ১২টায়
পার্থ 'বান্ধবী' অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্য়াটে 'যখের ধনের সন্ধান', ওয়াড্রোব, শৌচাগার থেকে উদ্ধার ২৯ কোটি টাকা

Share this article
click me!