সংক্ষিপ্ত

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কলকাতার  ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি টাকা। সেই মূল্যকেও ছাড়িয়ে গেল অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট। তদন্ত সংস্থার সূত্রের খবর অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি, গুরুত্বপূর্ণ নথি ও প্রচুর বাতিল নোট।

শুধু যে কলকাতার ফ্ল্য়াটেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখপাধ্যায়ের 'যখের ধন' রাখা ছিল তা নয়। তাঁর বেলঘরিয়ার ফ্ল্য়াটেও লুকিয়ে রাখা ছিল রাশি রাশি টাকা। ফ্ল্য়াটের ওয়ড্রোব খুলতেই সেই টাকার সন্ধান পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর শৌচাগারে ঢুকেতো চোখ উঠল কলাপ। কারণ অর্পিতা সেখানেও লুকিয়ে রেখেছিলেন  তোড়া তোড়া নোটের বান্ডিল। ইডি সূত্রের খবর, টাকার অঙ্ক ২৯ কোটি ৯০ লক্ষ। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫ কিলোগ্রাম সোনা। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়ার নোট গুণতে তদন্তকারীদের প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। 


অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কলকাতার  ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি টাকা। সেই মূল্যকেও ছাড়িয়ে গেল অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট। তদন্ত সংস্থার সূত্রের খবর অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি, গুরুত্বপূর্ণ নথি ও প্রচুর বাতিল নোট। ইডি আধিকারিকদের অনুনান নোটবন্দির আগে থেকেই এই শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্ণীতি শুরু হয়েছিল। তবে সবকিছুই  এখন তদন্ত সাপেক্ষ। 

গত ২২ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা প্রথম তল্লাশি চালিয়েছিল অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। সেখান থেকে পাওয়া নথি থেকেই অর্পিতার বাকি সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছিল তদন্তকারীরা। তারপরই ইডি বুধবার হানা দেয় অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্য়াটে। বুধবার সকালেই ইডির আধিকারিকরা বেলঘরিয়ার ফ্ল্য়াটে আসে। শুরু হয় তল্লাশি। উদ্ধার হয় তোড়া তোড়া বান্ডিল। রাত থেকেই শুরু হয়ে টাকা গোনার কাজ। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টো নাগাদ টাকা গোনার কাজ শেষ হয়। বেলঘরিার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুণতে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থার কর্মী ও মেশিন নিয়ে আসেন তারা। ইডি সূত্রের খবর প্রথম পাঁচটি মেশিন নিয়ে আসা হয়। কিন্তু টাকার অঙ্ক বেড়ে যাওয়ার বড় মাপের মেশিন নিয়ে আসেন তারা। 


তদন্তকারীরা  জানিয়েছেন অর্পিতার এই ফ্ল্য়াট থেকে একটি সোনার বাট উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে বহুমূল্যবান গয়নাও পেয়েছেন তাঁরা। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি আটটি ট্র্যাঙ্কে ভরে নিয়ে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। অর্পিতার দুটি ফ্ল্য়াট থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডি আগেই অনুমান করেছিল স্কুল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্ণীতিতে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। 

ফের টাকার হদিশ অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে, আনা হল টাকা গোনার মেশিন

রঙ মিস্ত্রি থেকে কোটিপতি, রাতারাতি ভাগ্য ফেরাল এই লটারির টিকিট

TET Scam: দফায় দফায় জেরা মানিক ভট্টাচার্যকে, সকাল ১০টা ঢুকে সিজিও থেকে ছাড়া পেলেন রাত ১২টায়