আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ আর নয়, ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে আলাদা হচ্ছে রাশিয়া

রাশিয়ার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে "আমরা আমাদের অংশীদারদের সাথে আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করব, তবে ২০২৪ সালের পরে এই স্টেশনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থার প্রধানকে উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি।

Parna Sengupta | Published : Jul 27, 2022 11:23 AM IST

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জের। এবার ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে আলাদ হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। মূলত রাশিয়াই উদ্যোগ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন ও ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরেই এই সিদ্ধান্ত ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের। রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা ২০২৪ সালের পরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আইএসএসের অংশীদারিত্ব ত্যাগ করবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে রাশিয়া আলাদা হয়ে যাবে। 

রাশিয়ার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে "আমরা আমাদের অংশীদারদের সাথে আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করব, তবে ২০২৪ সালের পরে এই স্টেশনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থার প্রধানকে উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থার প্রধান বলেন যে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন ছেড়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

২০২৪ সালের পর রাশিয়া নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন নির্মাণে মনোযোগ দেবে। দেশটির নবনিযুক্ত মহাকাশ প্রধান ইউরি বোরিসভ মঙ্গলবার এ কথা জানান। বরিসভ এই মাসের শুরুতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মহাকাশ কর্পোরেশন রোসকসমসের প্রধান নিযুক্ত হন। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের সময় বলেছিলেন যে রাশিয়া প্রকল্পটি ছাড়ার আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অন্যান্য অংশীদারদের প্রতি তার শর্ত ও বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে।

বোরিসভ বলেন, "২০২৪ সালের পর স্টেশনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে ততক্ষণে আমরা রাশিয়ান মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ শুরু করব।" ইউক্রেনে ক্রেমলিনের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘোষণা করেছে মস্কো।  মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও মহাকাশচারীদের জন্য রাশিয়ান রকেট উড়ান ও উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়ার জন্য NASA এবং Roscosmos এই মাসের শুরুতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়িয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। বাইডেন বলেছেন রাশিয়া যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই তার পাল্টা জবাব দেবে ন্যাটো বাহিনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানো আর নিরাপত্তা সাহায্য প্রদান করার জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে। আগেই ওয়াশিংটন ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য নিজের দেশের দরজা খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপের যেসব দেশগুলি ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াবে তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। পোল্যান্ডে গিয়ে বাইডেন ইউক্রেনীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই সময় পোল্যান্ড রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা করলে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।

Share this article
click me!