সংক্ষিপ্ত
করোনাকালে যাত্রী পরিষেবা নিয়মিত ছিল। বন্ধ ছিল একাধিক ট্রেন। স্পেশাল ট্রেনের তকমা দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চালান হত। এইক্ষেত্রে একাধিক মেল, এক্সপ্রেস. প্যাসেঞ্জার ট্রেনের নম্বর সঠিক ব্যবহার করা হত না।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মহামারির পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে রীতিমত বড় পদক্ষেপ ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railway)। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করতে আগামী সাত দিন নির্দিষ্ট সময় কোনও টিকিট কাটতে (Ticket reservation) ও কোনও রিজার্ভেশন বাতিল (Ticket cancellation) করতে পারবে না যাত্রীরা। রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে তেমনই জানিয়েছে রেল মন্ত্রক (Rail Ministry)।
করোনাকালে যাত্রী পরিষেবা নিয়মিত ছিল। বন্ধ ছিল একাধিক ট্রেন। স্পেশাল ট্রেনের তকমা দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চালান হত। এইক্ষেত্রে একাধিক মেল, এক্সপ্রেস. প্যাসেঞ্জার ট্রেনের নম্বর সঠিক ব্যবহার করা হত না। ভাড়াও ছিল সাধারণের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। এই অবস্থা থেকে পুরনো অবস্থায় দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রী পরিষেবা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রেল পরিষেবাকে পুরনো ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নতুন ট্রেনের নম্বর আপডেট করার সঙ্গে সঙ্গে সিস্টেম ডেটার আপগ্রেডেশন যুক্ত থাকবে। সেই কারণেই রবিবার থেকে রাতে ৬ ঘণ্টার জন্য টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা বৃহবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল।
CBI,ED: সিবিআই, ইডি-র প্রধানদের মেয়াদ বৃদ্ধি, অধ্যাদেশ আনল মোদী সরকার
S-400 Missile: চিনা হুমকি মোকাবিলায় আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত, রাশিয়া থেকে আসছে এস-৪০০ মিসাইল
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ১৪ ও ১৫ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে টিকিট সংরক্ষণ পরিষেবা বন্ধ রাখা শুরু হবে। এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সাত দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম পরিষেবা। রেলের তরফে জানান হয়েছে এই সময় টিকিট কাটাতো যাবেই না। একই সঙ্গে ট্রেন ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত কোনও খোঁজ নেওযা ও টিকিট বাতিল করাও যাবে না। পুরো ব্যবস্থাই বন্ধ থাকবে। অনলাইনের সঙ্গে অফলাইন ব্যবস্থাও কার্যকর থাকবে না। তবে এই সময় যে ট্রেনগুলি চলবে তার চার্ট আগে থেকেই তৈরি করে রাখা হবে। তাই অনলাইনে কোনও তথ্য না পেলেও ১৩৯ নম্বরে ফোন করে সমস্ত তথ্য পাওযা যাবে।
তবে করোনাকালে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেই ভাড়া কমানো হবে কিনা তা এখনও জানায়নি ভারতীয় রেল। পাশাপাশি করোনাকালে দূরপাল্লার ট্রেনে শিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একই ভাড়া নেওয়া হয়। আগে তা ছিল না। সেই ভাড়া আগের অবস্থায় ফিরে আসবে কিনা তাও জানানো হয়নি মন্ত্রকের তরফ থেকে। পাশাপাশি দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি ট্রেনে শাতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় বিছানার চাদর , কম্বল দেওয়া করোনাকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খাবার সরবরাহ ও বন্ধ ছিল। সেগুলি আগের অবস্থায় ফিরবে কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানায়নি ভারতীয় রেল।