ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে ঋষি সুনাকের ঘাড়ে নিঃশ্বাস পেয়েছেন জুনিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ও বুকিরদের প্রিয় পেনি মর্ডান্ট। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৮৩টি ভোট। পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস ৬৪ স্থান পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দৌড়ে এখনও এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে বরিস জনসনের স্থালাভিষিক্ত হওয়ার জন্য দ্বিতীয় রাউন্ডে ১০১ ভোটে এগিয়ে গেছেন। যা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়ে ঋষি সুনাকরে।
তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে ঋষি সুনাকের ঘাড়ে নিঃশ্বাস পেয়েছেন জুনিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ও বুকিরদের প্রিয় পেনি মর্ডান্ট। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৮৩টি ভোট। পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস ৬৪ স্থান পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্রাভারম্যান ২৭ ভোট পেয়ে লড়াই থেকে ছিটকে গেছেন। কেমি ব্যাডেনোচ ৪৯ ও টম টুগেনধাত ৩২টি ভোট পেয়ে এখনও লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন।
ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে বিরোধিদের প্রধান হাতিয়ারই হল তাঁর সম্পত্তি। কারণ প্রচুর প্রচুর টাকার মালিক ঋষি। অর্থনৈতিক মন্দার বিরুদ্ধে দেশকে নেতৃত্বে দেওয়ার জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনার যথেষ্ট ধনী - এমনটাই প্রচার চালিয়েছিল বিরোধীরা। তিনি বলেছেন তাঁর পূর্ব কাজের মূল্যায়ন আর রেকর্ড দেখছে। তাঁর সম্পদের বিচার না করে ব্যক্তি হিসেবে তাঁকে বিচার করার আবেদন জানিয়েছেন ভোট দাতাদেরকে। তিনি জানিয়েছেন কঠিন পরিস্থিতিতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মত দক্ষতা রয়েছে তাঁর। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় ঋষি সুনাক ছিলেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর পদত্যাগের কারণেই গদিচ্যুত হয় হয়েছিল বরিস জনসনকে।
বুধবার প্রথম রউন্ডের ভোটে রক্ষণশীল বিধায়কদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছিলেন সুনাক। দলের ৩৫৮ জন সাংসদের মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছেন। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মার্ডান্ট। তবে সুনাকের স্থলাভিষিক্ত নাদিম জাহাভি ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট দুজনেই পরাজিত হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের ময়দান থেকে ছিকটে গেছেন। তাঁরা প্রয়োজনীয় নূন্যতম ৩০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন।
সুনাক, ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাতাও, তিনি প্রথম রাউন্ডের পরে বিবিসিকে বলেছিলেন যে তিনি ফলাফলে সন্তুষ্ট। সংক্ষিপ্ত তালিকাকে মাত্র দুই প্রার্থীর মধ্যে সংকুচিত করার সময়সীমা ২১জুলাই টোরি ব্যাকবেঞ্চারের ১৯২২ কমিটি নির্ধারণ করেছে। শেষ দুই প্রার্থীকে দেশের আনুমানিক ২লক্ষ কনজারভেটিভ পার্টি সদস্যরা বেছে নেবেন। ৫ সেপ্টেম্বর, সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নতুন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।
আরও পড়ুনঃ
আজ থেকে বিনামূল্যে ৭৫ দিনের বুস্টার ডোজ অভিযান কর্মসূচি , কোভিড রুখতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের
সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে কড়াইয়ে ফেলে সেদ্ধ করল স্বামী, নারকীয়কাণ্ড দেখে মাথায় হাত পাক-পুলিশের
সময় উপযোগী একটি আইন কাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে, সাইবার সুরক্ষা নিয়ে বললেন রাজীব চন্দ্রশেখর