পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: মা চিতাবাঘই কি মেরে খেয়ে ফেলল? জুলজিক্যাল পার্ক থেকে উধাও চিতা শাবক। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমানে। ক্ষোভে ফুঁসছেন পশুপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে ফের ধস নামল সেবকে, জাতীয় সড়কে বন্ধ যান চলাচল
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি যখন বর্ধমানের জুলজিক্যাল পার্কে চিতাশাবকের জন্ম হয়, তখন রীতিমতো ধন্দে পড়ে গিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। কেন? কারণ, সাধারণত চিতাবাঘ একটি শাবকের জন্ম দেয় না। জন্মের ঠিক ন'দিনের মাথায় আবার সেই শাবকটি বেপাত্তা হয়ে গেল! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, অসাধু ব্যবসায়ী প্রাণীটিকে হয়তো বিক্রি করে দিয়েছে। কিন্তু ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, মা চিতাবাঘটির মল পরীক্ষা করা হয়েছে। মলে সরু হার ও লোম পাওয়া গিয়েছে। আর তাতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে যে, মা চিতাই নিজেই সন্তানকে খেয়েছে! কিন্তু এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার ডিএনএ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। হাড় ও লোম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতায়।
আরও পড়ুন: ৯ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, তোলপাড় বর্ধমানের কাটোয়া কলেজ
পশু হলেও কোনও মা কি সন্তানকে খেয়ে ফেলতে পারে? বন দপ্তরের কর্তাদের যুক্তি, মা চিতা বাঘটির বয়স ১৭ বছর। বয়সের হিসেবে তাকে বৃদ্ধই বলা চলে। তাই যে সন্তানদের জন্ম দিয়েছে সে, সেই সন্তানরা হয়তো দূর্বল ছিল। সেকারণেই জন্মের পর দুটি বা একটি সন্তানকে খেয়ে ফেলে মা চিতাবাঘ। বাদ যায়নি ন'দিনের শাবকটিও। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ যাই বলুন না কেন, চিতাশাবক উধাও হওয়ার ঘটনা ক্ষোভে ফুঁসছেন পশুপ্রেমীরা। তাঁদের সাফ কথা, বর্ধমানের এই জুলজিক্য়াল পার্কটি প্রাণীদের রাখার পক্ষে উপযুক্ত নয়।