পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু অন্তঃস্বত্ত্বার, গর্ভ থেকে ছিটকে বেরিয়েও বেঁচে ছিল ন'মাসের ভ্রুণ

  • ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে ঘটল দুর্ঘটনা
  • প্রাণ গেল অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলার
  • গর্ভ থেকে বেরিয়ে বেঁচেছিল ন'মাসের ভ্রুন
  • বর্ধমানের কেতুগ্রামের ঘটনা

Asianet News Bangla | Published : Jul 13, 2020 4:54 PM IST

পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান:  সন্তানের এসেছিল গর্ভে, কিন্তু মাতৃত্বের স্বাদ অধরাই থেকে গেল! লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন এক অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা। মায়ের গর্ভ থেকে ছিটকে পড়েও কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেশ কিছুক্ষণ বেঁচেছিল ন'মাসের ভ্রুণ! মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম।\

আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গুলি-বোমা লড়াই, গুরুতর জখম মহিলা-সহ ৫

মৃতার নাম সাবিরা বেগম। বাড়ি, বর্ধমানের কেতুগ্রামে আমগড়িয়া গ্রামে। ন'মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন ওই গৃহবধূ। সোমবার সকালে স্বামীর সঙ্গে বাইকে চেপে কাটোয়া শহরে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন তিনি, তখনই স্থানীয় বন্দর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। মৃতার স্বামী মিঠুনের দাবি, গা ঘেঁষে পাশ কাটাতে গিয়ে একটি লরি তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক-সহ উল্টে পড়েন স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই। বরাতজোরে রক্ষা পেয়ে যান মিঠুন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী সাবিরাকে পিষে দিয়ে চলে লরিটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,  লরির চাকার চাপে সাবিরা গর্ভস্থ ভ্রুমটি ছিটকে বেরিয়ে আসে। গর্ভস্থলী-সহ রাস্তায় রক্তমাখা অবস্থায় ছিটকে পড়ে রাস্তার উপর। সাবিরা প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মারা গেলেও বেশকিছুক্ষণ বেঁচে ছিল তাঁর সন্তান।  খবর পেয়ে পুলিশ মা ও সদ্যোজাত সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে সাবিরাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তারপরে কিন্তু প্রায় ঘণ্টা চারেক বেঁচে ছিল ভ্রুনটি!  

আরও পড়ুন:বাড়িতে বেআইনি কাঠ মজুতে অভিযুক্ত অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন, নোটিস জারি বন দফতরের

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী  মিঠুন। তাঁর স্ত্রী সাবিরা বেগমে বাপের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সালারে। এটিই ছিল ওই দম্পতির প্রথম সন্তান। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।

Share this article
click me!