মুর্শিদাবাদ যোগ, কোয়ারেন্টাইনে বর্ধমান মেডিক্যালের চিকিৎসক ও নার্সরা

  • মুর্শিদাবাদ যোগে আতঙ্ক
  • করোনায় আক্রান্ত সালারে বৃদ্ধ
  • তাঁকে আনা হয় বর্ধমান মেডিক্যালে
  • ডাক্তার ও নার্সদের পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 20, 2020 3:34 PM IST / Updated: Apr 20 2020, 09:52 PM IST

মারণ ভাইরাস ঢুকে পড়েছে বর্ধমানে। করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে খণ্ডঘোষে। এবার মুর্শিদাবাদ যোগে চিকিৎসক, নার্স-সহ বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজের ৩৮ জন ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ১৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দিল স্বাস্থ্য দপ্তর। তাঁদের সকলেরই লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: পিপিই ডাস্টবিনে 'ফেলে দিলেন' চিকিৎসকরা, বিতর্ক তুঙ্গে বীরভূমে

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। সেদিন মুর্শিদাবাদের সালারে বাসিন্দা এক বৃদ্ধের শরীরের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।  দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। জানা গিয়েছে, শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায় ওই বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়।  শহরের একটি ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু উপসর্গ সন্দেহজনক হওয়ায় রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। লালারস বা সোয়ার পরীক্ষায় করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসে। 

আরও পড়ুন: এবার পূর্ব বর্ধমানে থাবা বসাল করোনা, মেটিয়াবুরুজে কাজ করতেন আক্রান্ত

আরও পড়ুন: করোনা রুখতে সরছে কামালগাছি বাজার, এলাকাকে 'গ্রিন জোন' বানানোর লক্ষ্য়ে কাউন্সিলর

এই ঘটনার আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানেও। সালার এলাকাটি মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমানের একেবারেই সীমানায়। সতর্কমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শনিবার থেকে বন্ধ কাটোয়ার শাঁখাই ফেরিঘাট। রাতে জানা যায়, সালারের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধকে প্রথমে আনা হয়েছিল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, তিনি দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে ছিলেন, ঘুরেছেন বিভিন্ন বিভাগেও। এরপরই তিনজন চিকিৎসক, ৪ জন নার্স, সাফাইকর্মী-সহ কাটোয়া হাসপাতালের মোট ১৬ কর্মীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোয়ারেন্টাইনে।   সোমবার কোয়ারেন্টাইনে চলে গেলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের ৩৮ জন কর্মীও। কেন? কাটোয়া হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও আনা হয় বলে জানা গিয়েছে। শেষপর্যন্ত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। 

উল্লেখ্য, রাজ্যে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল, তখন কিছুটা হলে নিরাপদ ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা। রবিবার খণ্ডঘোষের বাসিন্দা এক ব্যক্তি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পানাগড়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। গ্রামটি সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। আক্রান্তের পরিবার ও প্রতিবেশী মিলিয়ে ৩১ জন আছেন কোয়ারেন্টাইন।

Share this article
click me!