লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ, বিপাকে আউশগ্রামের ডোকরা শিল্পীরা

 

  • এভাবে আর কতদিন চলবে!
  • লকডাউনের জেরে বাড়ছে অনিশ্চয়তা
  • ডোকরাপাড়ায় এখন চরম দুর্দিন
  • খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিল্পীরা
     

Asianet News Bangla | Published : May 15, 2020 11:47 AM IST / Updated: May 15 2020, 05:20 PM IST

পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান:  এই সংকট কি আদৌ কাটবে? লকডাউনে জেরে আধার নেমেছে পূর্ব বর্ধমানের বিখ্যাত ডোকরা শিল্পে। রোজগার হারিয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে শিল্পীদের। বাড়ছে দুঃশ্চিন্তাও।

আরও পড়ুন: লকডাউনে লাটে উঠেছে ব্যবসা, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে বাজি ব্যবসায়ীরা

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ডোকরা শিল্পের খ্যাতি জগৎজোড়া। দরিয়াপুর গ্রামে ৬০টি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এলাকাটি ডোকরাপাড়া নামেই পরিচিত। বাপ-ঠাকর্দার পেশা ছাড়েননি বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী রামু মালাকার। ডোকরা শিল্পের কদর এতটাই যে, গত বছর হাতে-কলমে কাজ শেখার জন্য নেদারল্যান্ডস এক যুবক এসেছিলেন আউশগ্রামে। কিন্তু এবার কী হবে? লকডাউনের জেরে বাড়ছে অনিশ্চয়তা।

জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে নামী পুজো কমিটি থেকে কাজের বরাত আসে। মে-জুন মাস থেকে দম ফেলার ফুরসৎ থাকে না আউশগ্রামের দরিয়াপুরের ডোকরা শিল্পীদের। আর এখন? লকডাউন শুরু আগে প্রায় চার লক্ষ টাকা শিল্প সামগ্রী তৈরির বরাত মিলেছিল। অগ্রিম টাকা দিয়ে কাঁচামালও কিনে ফেলেছিলেন শিল্পীরা। কিন্তু লকডাউনের কারণে শিল্পী সামগ্রী নেওয়ার ব্যাপারে আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে আর্থিক সংকট আরও বেড়েছে। দু'বেলা খাবার  জোটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ডোকরা শিল্পীরা।

আরও পড়ুন: বরাত পেল কুমোরটুলি, প্রতিমা যাবে অস্ট্রিয়া আর ফ্রান্সে

আরও পড়ুন: রাস্তায় তালাবিহীন সাইকেল, করোনা আতঙ্কে ছুঁয়ে দেখছে না চোরেরাও

এখানেই শেষ নয়। লকডাউন উঠে গেলেই যে সুদিন ফিরবে, তেমনটা কিন্তু নয়। বরং আশঙ্কার কথা শোনালেন আউশগ্রামের দরিয়াপুরের ডোকরাশিল্পী শুভ কর্মকার। তিনি বলেন, লকডাউন যদি উঠেও যায়, তাহলে কমপক্ষে আরও ২ বছর সংকটেই থাকবে এই শিল্প। 

Share this article
click me!