পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: ব্যবধান মাস ছয়েকের। এবার ভেঙে পড়ল পোর্টিকোর ফসল সিলিং, আহত হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। আরও বেশ কয়েকজন আহত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফের দুর্ঘটনা ঘটল বর্ধমান স্টেশনে। রেল ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: পরিবহণে অচলাবস্থা কাটল, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার জেলায় পথে নামল বেসরকারি বাস
চলতি বছরের গোড়ার দিকে ঘটনা। ৪ জানুয়ারি ভরসন্ধেবেলায় হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের এই পোর্টিকোর একাংশ। সেবার একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতও হয়েছিলেন আরও একজন। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। দুর্ঘটনার মাস দুয়েক পর পোর্টিকোটি মেরামতির কাজ শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। এরপর ফের নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু ছ'মাস পর ফের দুর্ঘটনা ঘটল। নেহাত সদ্য লকডাউন শিথিল হয়েছে, তাই স্টেশনে তেমন ভিড় ছিল না। না হলে আরও বড় অঘটন ঘটার আশঙ্কা ছিল।
আরও পড়ুন: হলদিয়ার সঙ্গে কলকাতার জলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, আমফানে ৫ টনের জেটি জলের তলায়
জানা গিয়েছে, ররিবার সকালে যখন ফলস সিলিংটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন বর্ধমান স্টেশনের পোর্টিকোর নিচে ছিলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। চাঙড় ভেঙে পড়ে তাঁর মাথায়। আহত ব্য়ক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ফলস সিলিংস কি জল জমে গিয়েছিল? প্রাথমিকভাবে তেমনটা মনে করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে তৎপরতা দেখাননি রেলের আধিকারিকরা। পরে শ্রমিকের আহত হওয়ার খবরে নড়চড়ে বসেন তাঁরা। রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ঠিকাদার সংস্থার দক্ষতা নিয়েও।