রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ২,১৯,০০০ টি এটিএম ছিল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এটি কমে ২,১৫,০০০-এ দাঁড়িয়েছে।
দেশের অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) এবং ক্যাশ রিসাইক্লার (সিআরএম)-এর সংখ্যা কমছে বলে জানা গেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশ ডিজিটাল ব্যাংকিং-এর দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে এটিএমের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। দেশে ইউপিআই-এর মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এর অন্যতম প্রধান কারণ।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ২,১৯,০০০ টি এটিএম ছিল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এটি কমে ২,১৫,০০০-এ দাঁড়িয়েছে, অর্থাৎ এক বছরে ৪,০০০ টি এটিএম কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিনামূল্যে এটিএম ব্যবহার এবং ইন্টারচেঞ্জ ফি সংক্রান্ত আরবিআই-এর নিয়ন্ত্রণের কারণে এটিএম-এ বিনিয়োগ কমেছে। কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক কার্ড ব্যবহারকারীকে অর্থ উত্তোলনের জন্য যে ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে সেই ব্যাংককে যে চার্জ প্রদান করে তাকে এটিএম ইন্টারচেঞ্জ বলে। অর্থাৎ অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুললে আপনার ব্যাংককে বেশি অর্থ দিতে হবে, যার ফলে আপনার কাছ থেকে বেশি চার্জ নেওয়া হতে পারে।
পরিবর্তনশীল গ্রাহক চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থাও আধুনিকীকরণ হচ্ছে, যার ফলে ভবিষ্যতে এটিএম সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।
এটিএম-এর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৮৭ সালের ২৭ জুন হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি) মুম্বাই-এ প্রথম এটিএম স্থাপন করে। এটি গ্রাহকদের ব্যাংকে না গিয়েই অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়, যা ভারতের ব্যাংকিং ক্ষেত্রে এক বিপ্লব সৃষ্টি করে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।