গত সপ্তাহে অর্জুন মোহনকে বাইজুর সিইও করা হয়েছিল। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিওয়াইজু’র সিনিয়র পদে কর্মরত ছিলেন। এসব সিদ্ধান্তের কথা কোম্পানির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছেন মোহন।
এডু-টেক ফার্ম বাইজু-এর নতুন ভারতের সিইও অর্জুন মোহন নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে। জানা গিয়েছে প্রায় ৫ হাজার লোকের চাকরি যেতে পারে দেশ জুড়ে। কোম্পানির উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে ছিলেন অর্জুন মোহন। তারই অঙ্গ হিসেবে নাকি এই ছাঁটাই জরুরি বলে জানা গিয়েছে। এই চাকরির ছাঁটাই থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের ভারতের কর্মীদের প্রভাবিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সংস্থাটি বাইজুস পরিচালনা করে।
গত সপ্তাহে অর্জুন মোহনকে বাইজুর সিইও করা হয়েছিল। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিওয়াইজু’র সিনিয়র পদে কর্মরত ছিলেন। এসব সিদ্ধান্তের কথা কোম্পানির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছেন মোহন। বড় মাপের চাকরি ছাঁটাই কোম্পানির বিক্রি, মার্কেটিং এবং অন্যান্য সেক্টরকে প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃণাল মোহিতের জায়গায় সিইও পদ পেয়েছেন মোহন।
আর্থিক সংকটে পড়েছে বাইজু
করোনা মহামারীর সময়, একটি দীর্ঘ লকডাউন ছিল এবং শিশুদের শিক্ষা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, বাইজু এবং অন্যান্য অনলাইন শিক্ষা প্রদানকারী সংস্থাগুলি গড়ে ওঠে। লকডাউন উঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষা ব্যবস্থা আবার ট্র্যাকে ফিরে আসে। এরপর সমস্যায় পড়ে অনলাইন শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাইজু বর্তমানে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন। এ কারণে ব্যাপক হারে চাকরি ছাঁটাই হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি অফিসের জায়গাও ছেড়ে দিয়েছে। বাইজু এর আগেও বেশ কয়েকবার কয়েক দফা ছাঁটাই করেছে।
এই মাসের শুরুর দিকে, বাইজুস তার ঋণদাতাদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল যাতে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে তার সম্পূর্ণ বিতর্কিত ১.২ বিলিয়ন ডলার মেয়াদী ঋণ পরিশোধ করা যায়। এতে পরবর্তী তিন মাসে ৩০০ মিলিয়ন ডলার অগ্রিম টাকা দেওয়াও রয়েছে। এর জন্য, কোম্পানিটি তার দুটি প্রধান অ্যাসেট বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে - গ্রেট লার্নিং এবং ইউএসের এপিক। বাইজু একটি নতুন ইক্যুইটি ফান্ডিং রাউন্ড বাড়ানোর কথাও বিবেচনা করছে।