কোন কোন জরুরি পরিস্থিতির জন্য কত পরিমাণ টাকা নিজের EPF অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে পারবেন আপনি? জেনে নিন।
চাকুরিজীবী মানুষদের মাইনে থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে EPF বা এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড হিসেবে কেটে নেওয়া হয় সামান্য কিছু অর্থ। সেই অর্থ দীর্ঘ দিন ধরে জমতে জমতে বড় অঙ্কে পরিণত হয়। প্রত্যেক কর্মী বিশেষ প্রয়োজনে নিজের EPF অ্যাকাউন্ট ভেঙে সেই টাকা ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য টাকার ব্যবহারের বিশেষ কতগুলি তালিকা রয়েছে।
নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ঋণ শোধ করার জন্য কর্মী ভবিষ্যনিধি-তে (EPF) জমানো টাকা তোলা যায়। ডিএ সমেত ৩৬ মাসের বেতনও তোলা যায়, অথবা তা না হলে, এতদিন পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে যত টাকা জমা পড়েছে, তার পুরোটা গৃহঋণ পরিশোধের জন্য তুলে নেওয়া যায়। তবে, EPF অ্যাকাউন্ট খোলার পর ১০ বছর সম্পূর্ণ না হলে এই সুবিধা পাওয়া যায় না।
নিজের বা পরিবারের খুব নিকট কোনও সদস্যের বিয়ের জন্য কর্মী ভবিষ্যনিধির টাকা তোলা যায়। এই ক্ষেত্রে EPF অ্যাকাউন্ট খোলার পর ৭ বছর সম্পূর্ণ না হলে এই সুবিধা পাওয়া যায় না। ৭ বছর পর অ্যাকাউন্টে টাকার ৫০ শতাংশ তুলে নেওয়া যায়।
একনাগাড়ে পাঁচ বছর চাকরি করলে বাড়ি তৈরি অথবা ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং জমি কেনার জন্য EPF অ্যাকাউন্টের টাকা তোলা যায়। জমি কেনার জন্য ডিএ সমেত বেতনের ২৪ গুণ টাকা তোলা যায়। বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা অথবা বাড়ি বানানোর প্রয়োজনে ডিএ সমেত বেতনের ৩৬ গুণ টাকা খরচ করা যায়।
নিজের সন্তানের পড়াশোনার জন্য কোনও ব্যক্তি EPF অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন। এই কারণের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার সাত বছর পরে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার ৫০ শতাংশ তুলে নেওয়া যায়।
কোনও কর্মী নিজের বা নিজের পরিবারের মানুষজনের চিকিৎসার জন্য কর্মী ভবিষ্যনিধি-র টাকা তুলে নিতে পারেন। নিজের বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানের চিকিৎসার জন্য টাকা খরচ করা যায়। নিজের বেতনের ছয় গুণ সুদ বা নিজের অবদানের সমান পরিমাণ সুদ, এই দুইয়ের মধ্যে যেটির পরিমাণ সবচেয়ে কম হবে, সেই পরিমাণ টাকা তোলা যায়।