ক্রেডিট কার্ড দিয়ে দুবাইয়ে বিলাসবহুল সম্পত্তি ক্রয়? RBI গাইডলাইন ভেঙে চরম বিপদে বহু ভারতীয়

Published : Aug 04, 2025, 04:28 PM IST

Dubai Property Buying Rules: দুবাইয়ে স্বপ্নের বাড়ি কেনার শখ। ঘরে বসেই ক্রেডিট কার্ডে মিটছে শখ পূরণ। কোনও রকম কর, ব্যাঙ্কে যাওয়ার ঝামেলা ছাড়াই? জানেন ক্রেডিট কার্ডে বাড়ি কিনে আসলে কোন চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন! দেখুন ফটো গ্যালারিতে। 

PREV
16
ক্রেডিট কার্ডে দুবাইয়ে বাড়ি!

অনেকেই দুবাইয়ের প্রোমোটারদের কাছ থেকে পাওয়া পেমেন্ট লিঙ্কে ক্লিক করে অথবা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE) ভ্রমণের সময় ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করে সম্পত্তি কিনেছেন। এতে তাঁদের কাছে কোনও কাগজপত্র বা ব্যাঙ্কে যাওয়ার ঝামেলা থাকছে না। এমনকি, তাঁরা ভেবেছিলেন যে এর মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানোর ওপর যে ২০% টিসিএস (TCS) বা উৎস কর দিতে হয়, সেটাও এড়ানো যাবে। কিন্তু এতেই বিপদে পড়ছেন বহু ভারতীয়। 

26
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে বাড়ি ক্রয়

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড শুধুমাত্র হোটেল বুকিং, সিনেমা দেখা বা বই কেনার মতো দৈনন্দিন খরচের জন্য ব্যবহার করা যায়। বাড়ি বা শেয়ার কেনার মতো বড় বিনিয়োগের জন্য এগুলি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর এই নিয়ম না মেনেই যাঁরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন, তাঁরা এখন বিপদের মুখে পড়েছেন। ফলে দুবাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি কিনতে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের চক্করে পড়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন বহু ভারতীয় নাগরিক। 

36
কেন এই অসুবিধা?

জানা গিয়েছে, আয়কর দফতর অথবা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর নজরে পড়ার আশঙ্কায় অনেক ক্রেতা এখন নিজেদের ভুল শোধরাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁরা এখন লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিম (LRS)-এর মাধ্যমে সঠিক পথে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং নির্মাতাদের কাছে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে করা আগের পেমেন্ট বাতিল করার অনুরোধ করছেন। আবার কিছু ক্রেতা এই ভুল শোধরানোর জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর কাছে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে জরিমানা দিয়ে আইনি জটিলতা থেকে রেহাই পেতে চাইছেন। ব্যাংকিং ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে 'কম্পাউন্ডিং' বলা হয়। যার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের নিয়ম ভাঙার জন্য বড় শাস্তির বদলে একটি নির্দিষ্ট জরিমানা দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায়। 

46
লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিম কী

লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিম (LRS) অনুযায়ী, একজন ভারতীয় বাসিন্দা বিদেশে সম্পত্তি কেনা বা ব্যক্তিগত খরচের জন্য প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলার পাঠাতে পারেন। কিন্তু এই টাকা অবশ্যই সঠিক ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। এছাড়াও, মূলধনী লেনদেনের জন্য টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে, ব্যক্তিকে সেই ব্যাঙ্কে কমপক্ষে এক বছর ধরে অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে সম্পত্তির মূল্য পরিশোধ করা হলেও তা LRS-এর নিয়ম অনুযায়ী বৈধ নয় এবং এটি একটি নিয়ম লঙ্ঘন হিসেবেই ধরা হয়।

56
কী বলছে আরবিআই-এর গাইডলাইন? po

জয়ন্তীলাল ঠক্কর অ্যান্ড কোং কম্পাউন্ডিংয়ের পার্টনার রাজেশ শাহ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘’এই ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর নরম মনোভাব নেওয়া উচিত।'' তিনি আরও বলেন, ‘’ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে, তা বৈধ। এক্ষেত্রে শুধু অর্থ প্রদানের পদ্ধতিটি ভুল ছিল। যদি আবেদন করা হয়, তাহলে আরবিআই-এর উচিত হবে এই লঙ্ঘনের সমাধান করে দেওয়া। কিন্তু লেনদেনটি বাতিল করা বা সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিতে বলা উচিত নয়।'' শাহের মতে, যেহেতু টাকা বৈধ এবং কেবল প্রযুক্তিগত ভুল হয়েছে, তাই আরবিআই এক্ষেত্রে কঠোর না হয়ে সহজ সমাধান সূত্র দিতে পারে।

66
দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনতে গেলে এখন কী করবেন?

বিদেশে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)-এর নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি, উপহার, বিদেশে থাকাকালীন উপার্জিত অর্থ অথবা লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিম (LRS)-এর মাধ্যমেই কেবল বিদেশে সম্পত্তি কেনা যেতে পারে। এই নিয়মগুলির মধ্যে কোথাও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কথা বলা নেই। বিদেশে সম্পত্তি কিনলে ২০% টিসিএস (TCS) দেওয়াও বাধ্যতামূলক। এদিকে, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (CA) আশিষ কারুন্দিয়া বলেছেন, ‘’আপনি যে পদ্ধতিতেই বিদেশে সম্পত্তি কিনুন না কেন, আয়করের নিয়ম অনুযায়ী তার উপর ২০% টিসিএস (TCS) বা উৎস কর দিতেই হবে। অর্থাৎ, পেমেন্ট পদ্ধতি যা-ই হোক না কেন, বিদেশে সম্পত্তি কিনলে এই কর প্রদান বাধ্যতামূলক।'' 

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories