আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর রয়েছে আয়কর বিভাগের কড়া নজর। সাধারণত ছোটবড় সব লেনদেনের ওপরই সরকার নজর রাখে। কিন্তু বড় লেনদেন হলে তো কথাই নেই।
212
উদ্দেশ্য
সরকারের এই নজর রাখার মূল উদ্দেশ্যই হলই কালো টাকার লেনদেন বন্ধ করা। কালো টাকার লেনদেন বন্ধ করতে আর কর ফাঁকি রুখতে ইতিমধ্যেই ভারত সরকার বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে।
312
স্টেটমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল ট্রানজ্যাকশন বা SFT
আয়কর আইন অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান - ব্যাঙ্ক, মিউচুয়াল ফান্ড, রেডিস্টার ও বন্ড ইস্যুকরী সংস্থাগুলির জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যে কোনও নাগরিকের বড় লেনদেনের ওপর নজরদারি।
ফর্ম 61A-এর মাধ্যমে জমা করা হয়, যা আপনার বার্ষিক তথ্য বিবৃতি বা Annual Information Statement (AIS)-এর একটি অংশ। এর ফলে, আয়কর দপ্তর সহজেই আপনার আর্থিক লেনদেনের উপর নজর রাখতে পারে। জেনে নিন সরকার সাধারণত কোন কোন লেনদেনের ওপর নজর রাখে।
512
সেভিংস অ্যাকাউন্টে নগদ জমা
আপনি যদি একটি অর্থ-বর্ষে আপনার এক বা একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্টে মোট ১০ লক্ষ বা তারও বেশি জমা করেন তাহলে সেই তথ্য জানবে আয়কর দফতর।
612
কারেন্ট অ্যাকাউন্টের লেনদেন
আপনি যদি আপনার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে এক আর্থিক বছরে মোট ৫০ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি নগদ জমা দেন বা তুলে নেন তবে সেটা আয়কর দফতরকে জানাতে হবে।
712
ফিক্সড ডিপোজিট
এক বা একাধিক ফিক্সড ডিপোজিটে যদি এক বছরে মোট ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করা হয়, তবে ব্যাঙ্ক এই তথ্য রিপোর্ট করে।
812
ক্রেডিট কার্ড
পনার ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটানোর জন্য এক আর্থিক বছরে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করেন, অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি পেমেন্ট করেন, তবে সেই তথ্য আয়কর দপ্তরের নজরে আসে।
912
সম্পত্তির লেনদেন
আপনি ৩০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের কোনো স্থাবর সম্পত্তি কেনা-বেচা করেন, তবে রেজিস্ট্রি অফিস সেই লেনদেনের তথ্য আয়কর দপ্তরকে জানায়।
1012
বিনিয়োগ
শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডে এক আর্থিক বছরে মোট ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করেন, তবে সেই তথ্যও রিপোর্ট করা হয়।
1112
বিদেশি মুদ্রা
আপনি এক বছরে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের বিদেশী মুদ্রা কেনা-বেচা করেন, তবে সেই তথ্যও আয়কর দপ্তরের কাছে যায়।
1212
এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য
এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা। আয়করের চোখরাঙানি এড়াতে প্যান কার্ড ব্যবহার করা জরুরি। আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় আয়ের উৎস সঠিকভাবে জমা দেওয়া।