প্রতিদিন মাত্র ৭ টাকা করে জমালেই মাসে পেয়ে যাবেন ৫০০০ টাকা। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। মোদী সরকারে এই বিশেষ স্কিমেই মধ্যবিত্তের মুখে ফুটবে হাসি। দিনদরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী এই অটল পেনশন যোজনা নিয়ে এসেছে। এতে ভবিষ্যতে সঞ্চয় অনেকটাই সুরক্ষিত হবে। মাত্র ৭ টাকার বিনিময়ে প্রতিমাসে আপনি পেতে পারেন ৫০০০ টাকার পেনশন। শ্রমিকদের ভবিষ্যতের সুরক্ষাতেই এই যোজনা নিয়ে এসেছে মোদী সরকার।
১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন গ্রাহকেরা। তবে ৬০ বছর পর থেকেই মিলবে এই পেনশনের টাকা। পেনশন গ্রাহকের যদি মৃত্যু হয় তাহলে তার স্বামী বা স্ত্রীএই টাকা পাবেন। এছাড়া দুজনেরই যদি মৃত্যু হয় তাহলে নমিনিকে দেওয়া হবে পুরো টাকা। এই স্কিমের আওতায় প্রতিমাসে ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার, ৪ হাজার বা ৫ হাজার টাকার পেনশন পেতে পারেন। এই প্রকল্পের আওতায় কোনও ব্যক্তি যদি দিনে ১০ টাকা করে সাশ্রয় করে তাহলে ৬০ বছর পরে মাসে তিনি পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থাৎ বার্ষিক ৬০ টাকার পেনশন পাবেন।
আরও পড়ুন-বর্ষায় চুলের সমস্যা, লম্বা এবং ঘন চুলের জন্য রইল বিশেষ ঘরোয়া এই হেয়ার প্যাক...
২০১৫ সালে অটল পেনশন যোজনা চালু করা হয় ৷ চলতি মাসের ১ জুলাই থেকে অটল পেনশন যোজনার জন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ কোভিড ১৯-এর জন্যই এই যোজনার টাকা কাটা বন্ধ রাখা হয়েছিল ৩০ জুন পর্যন্ত ৷ তবে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এই যোজনার জন্য কারও টাকা বাকি থাকলে তা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে ৷ এর জন্য বাড়তি কোনও পেনাল্টি চার্জ নেওয়া হবে না ৷
প্রধানমন্ত্রীর অটল পেনশন যোজনায় সরকার ন্যূনতম পেনশনের নিশ্চয়তা দেয়। ১৮ বছর বয়স থেকেই এই স্কিমের আওতায় আসতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়মবদল হবে। যেমন মাসে ২১০ টাকা করে জমা দিতে হবে, অর্থাৎ প্রতিদিন ৭ টাকা করে রাখলেই ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ৫০০০ টাকা করে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন গ্রাহকেরা। ইতিমধ্যেই ২কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই পেনশনের সুবিধা নিতে গেলে কোনও ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে অবশ্যই সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে গ্রাহকের। এই স্কিমের আওতায় ট্যাক্স ছাড়েরও সুবিধা মিলবে। একজন সদস্যের নামে একটি মাত্র অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। অটল পেনশন যোজনার আওতায় পেনশনের সর্বাধিক সীমা প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা। যদিও প্রতিমাসে ১০,০০০ করে পরবর্তীতে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।