লকডাউনের সমালোচনায় রাজীব বাজাজ
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনায় জানালেন মতামত
লকডাউনে ক্ষতি হয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির
আনলক হয়েও স্বস্তি নেই বলে মন্তব্য
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে লকডাউন নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি তথা বাজাজ অটোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বাজাজ। তিনি বলেন লকডাউন ভুল পথে চালিত করেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ লকডাউনের পথে হেঁটেছে। কিন্তু সেই রাস্তা সম্পূর্ণ ভুল ছিল বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা একটি কঠোর লকডাউন পালন করেছি। যাতে প্রচুর ফাঁক ফোকর রয়েছে, বা এখনও আছে।
রাজীব বাজাজ আরও জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন দেশের সঙ্গে বিশ্বও বর্তমানে চরম সংকটে রয়েছে। কারণ লকডাউনে ফাঁক ফোকর থাকায় ভাইরাসরটি এখনও রয়েগেছে। আগামী দিনেও থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর তাই আপনি যখনই ঘর থেকে বার হবেন বা নিজেকে আনলক করবেন তখনই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি বলেছেন এই মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। তা ঠিক। পাশাপাশাপি তিনি জানিয়েছেন ভুল পথে চলিত হওয়ায় ব্যপক প্রভাব পড়েছে আর্থিক বৃদ্ধিতে। গত ১১ বছরে চলতি বছরই জিডিপির গ্রাফ নিম্নগামী বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে, স্বস্তি দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য ...
শেষ ১৬ দিনে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক, আনলক আরও বিপদ ডেকে আনবে কি ...
'করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিথিল হচ্ছে লকডাউনের নিয়ম', সমালোচনা রাহুলের ...
রাজীব বাজাজ আরও বলেছেন করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। কিন্তু কোথাউই সম্পূর্ণ লকডাউন হয়নি। কোনও মানুষই দিনের পর দিন নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখেননি।
রাহুলের সঙ্গে আলোচনায় রাজীব বাজাজ আরও বলেন, দেশে আনলক শুরু হয়েছে। কিন্তু তারজন্য এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও লক্ষণ এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তিনি বলেন লকডাউন ইস্যুতে আমরা আমাদের কাছের দেশগুলিকে উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ না করে পশ্চিমের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। সেই প্রসঙ্গে তিনি তুলে আনেন জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গও। এই দুটি দেশ কঠোর লকডাউনের পথে না হেঁটেও করোনা সংক্রমণ আয়ত্বে রাখতে পেরেছিল। দেশে এখনও কতটা ভয়ের বাতাবরণ রয়েছে, এই নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজীব বাজার বলেন, সংবেদনশীল ও সহনশীল হওয়ার দিকে ভারতকে আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।