ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছুঁতে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিজেলের দামও। দু-একদিন অন্তর রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আজ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৩৪ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ২৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে, পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ৯৮ টাকা ৬৪ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ৩ পয়সা।
অন্যদিকে মুম্বইতে আজ লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৯৬ টাকা ৭২ পয়সা। দিল্লিতেও সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে পেট্রোলের দাম। আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৮১ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৮৯ টাকা ১৮ পয়সা। তালিকায় পিছিয়ে নেই চেন্নাই। সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৮২ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯৩ টাকা ৭৪ পয়সা।
এই মুহূর্তে মোট বেশ কয়েকটি রাজ্যে পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলাঙ্গানা, কর্নাটক, ওড়িশা, বিহার, কেরালা।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতিদিন সকাল ছয়টায় সংশোধন করা হয়। সকাল ছয়টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়। পেট্রোল ও ডিজেলের দামে এক্সাইজ ডিউটির মতো কিছু ট্যাক্স ও ডিলারের কমিশন যুক্ত হয়। এসব যুক্ত করার পর দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থা বেহাল। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর তার মধ্যে দু-একদিন অন্তর তেলের দাম বাড়তে থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। জ্বালানির দাম বাড়তে থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, 'কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের সমস্যার কথা না ভেবে উৎপাদন শুল্ক, সেস এং সারচার্জ থেকে রাজস্ব বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। '
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছিলে, "মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার টিকার জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।"
অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।