ডিসেম্বরে মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে বাড়তে পারে রেপো রেট। ওমিক্রন ফের বিশ্ব এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে বলে আশঙ্কা।
ফিন্যানসিয়াল মার্কেটের(Financial Market) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক হতে চলেছে আগামী ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর(6-8 Dec)। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক(RBI Monetary Policy meet) হবে ডিসেম্বরের ৬ থেকে ৮ তারিখ। ওমিক্রনের(Omicron) নয়া আতঙ্ক ও মুদ্রাস্ফিতির চাপের(high inflationary pressures)জন্যই এই নতুন পলিসি গঠনের জন্য বৈঠক করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মনিটারি পলিসি কমিটি। রিসার্চ, নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়ার চিফ ইকোনমিস্ট এবং ন্যাশনাল ডিরেক্টর রজনী সিনহা(Rajani sinha) বলেন,আরবিআই বর্ধিত VRRR নিলামের মাধ্যমে সিস্টেম থেকে অতিরিক্ত তারল্য বের করে এবং G-SAP স্থগিত করে স্বাভাবিককরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ ডিসেম্বরে মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে(Monetary Policy Meeting) পলিসির বৃদ্ধির প্রত্যাশা রয়েছে৷ বৈঠকে, আরবিআই রেপো(Repo Rate) এবং রিভার্স রেপো রেট এর মধ্যে করিডোরকে সংকুচিত করতে বিপরীত রেপো রেট বাড়াবে(Repo Rate Increase)। উল্লেখ্য, নতুন কোভিড ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ফের বিশ্ব এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে(Indian Finance Market) অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে বলে আশঙ্কা।
ফেড-এর আর্থিক নীতির ইঙ্গিত,ভারতে এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারে হঠাৎ করে কোনও বিপদ আসতে পারে। এইরকম পরিস্থিতিতে, আরবিআই তার আসন্ন বৈঠকে রেপো রেট গুলি স্থগিত রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রোথের বিষয়টি সামনে রাখলে দেখা যায়, যখন বেশিরভাগ অর্থনৈতিক সূচক প্রাক-কোভিড স্তরকে ছাড়িয়ে গেছে, অর্থনীতিতে এখনও অনেক শিথিলতা রয়েছে। তাই আরবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী মনিটারি পলিসি মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। রিসার্চ, নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়ার চিফ ইকোনমিস্ট এবং ন্যাশনাল ডিরেক্টর রজনী সিনহার মতে, অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ তৈরির বিষয়ে উদ্বিগ্ন হবে আরবিআই । পণ্যের উচ্চ মূল্য এবং সরবরাহে বাধার কারণে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বৃদ্ধির সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির উপর আরও চাপ বাড়ার প্রবনতা রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেটের হার বৃদ্ধি করতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রিভার্স রেপো রেটবৃদ্ধির সাথে রেপো এবং রিভার্স রেপো রেট এর মধ্যে করিডোরকেও সংকুচিত করবে। রেপো রেট বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ভর করবে কীভাবে কোভিড পরিস্থিতির গতিবিধির ওপর। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর এর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন-RBI Proposal-ডিজিটাল কয়েনকে মুদ্রায় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব RBI-র, শীতকালীন অধিবেশনে উঠল প্রসঙ্গ
আরও পড়ুন-Taxable Crypto-ক্রিপটোকারেন্সিতে বসতে পারে কর,সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে আগামী বাজেটে
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে রিভার্স রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অবশ্যই কিছুটা অপেক্ষা করবে। কারণ কোভিড-১৯ এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এর সাথে কিছু নতুন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে চলেছে। সব মিলিয়ে, অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ তৈরি হচ্ছে। এই সত্যের প্রেক্ষিতেই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কও সমস্যায় পড়তে চলেছে। তবে একটা কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংখ্যা ভাল স্তরে পৌঁছানোর সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ভাল হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যুক্তিসঙ্গত তারল্য প্রদান চালিয়ে যেতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর, শক্তিকান্ত দাস সম্প্রতি বলেছেন,সিস্টেমে তারল্যের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই কাজ করা হচ্ছে। দীর্ঘ সঙ্কটকালীন সময়ের পরে মনিটারি পলিসি ফের স্বাভাবিক হওয়ার পথে। 8 ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় মনিটারি পলিসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।