মমতার ছেড়ে যাওয়া আসনে TMC-র প্রথম বিধায়ক, এবার শোভনদেবের হাতে ভবানীপুরে আলো জ্বালানোর ভার

 

  • ৭৭ বছর বয়সী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে  
  •  যা গত বিধানসভা নির্বাচনেও ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র  
  • শোভনদেব কিন্তু প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে 
  • ১৯৯১ ও ৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জেতেন বারুইপুর থেকে 


২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হবেন কিনা, তা সময় বলবে। তবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এমন একটা জয় কদি আগে করে ফেলেছেন, যার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাবার কথা সব পক্ষেরই। তিনি করোনাজয়ী। 

৭৭ বছর বয়সী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবার নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। এমন এক কেন্দ্র থেকে তাঁকে লড়াই করতে হবে, যেখান থেকে না জেতার কোনও সুযোগ রাখা চলে না। কেন্দ্রের নাম ভবানীপুর। যা গত বিধানসভা নির্বাচনেও ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র। এবার মমতা নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেবার পর, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। 

Latest Videos

তিনি যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, তখন শোভনদেব ছিলেন ৩০ এর তরুণ। তাঁর দল ছিল কংগ্রেস। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসে ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ১৯৯৮ সালে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তিনিই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর কেন্দ্র ছিল রাসবিহারী। কংগ্রেসের হৈমী বসুর মৃত্যুতে রাসবিহারী বিধানসভা বিধায়কশূন্য হয়ে পড়ে। সে কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে তৃণমূলের বিধায়ক হন শোভনদেব। তার পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত রাসবিহারী ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্ভেদ্য দুর্গ। 

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম বিধায়ক হলেও, শোভনদেব কিন্তু প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন বারুইপুর থেকে। শুধু দলীয় রাজনীতি নয়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পরিচয় ট্রেড ইউনিয়ন নেতা হিসেবেও। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন এআইটিটিইউসি-র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কলকাতা অটো রিকশা অপারেটর্স ইউনিয়নেরও সভাপতি শোভনদেব।

কয়েকদিন আগেই শোভনদেব ঘোষণা করেছেন, ভবানীপুর কেন্দ্রে বড় কোনও সমাবেশ হবে না ভোট প্রচারে। করোনা সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি। মমতার ছেড়ে যাওয়া আসন বলেই এই কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত বর্ষীয়ান এই নেতা। ২০১১ সালে মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ছিলেন দলের মুখ্য সচেতক। ২০১৬ সালে তাঁকে বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি তৃণমূল সরকার পন্থী ছিলেন এবং সরকারি কমিটির সদস্যও ছিলেন। কিছুদিন আগে উল্টো সুর গাইতে শুরু করার পর এবছরই বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন রুদ্রনীল। বিদায়ী মন্ত্রিসভার বিদ্যুৎমন্ত্রী মমতার ছেড়ে যাওয়া বিধানসভায় রোশনাই আনতে পারেন তা স্থির হবে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের দিন, ২৬ এপ্রিল। 

Share this article
click me!

Latest Videos

ইয়ার্কি হচ্ছে! এতদিন ধরে বালু পাচার হচ্ছে আর উনি জানেন না! Mamata-কে তুলোধোনা Sukanta-র
ছয় Bidhan Sabha কেন্দ্রের ছটিতেই এগিয়ে TMC, আবির খেলায় মাতলেন গঙ্গাসাগরের তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা
তার ছুঁতেই ঘটলো বিপত্তি! আতঙ্কে কাঁপছে Bangaon-র বাসিন্দারা! দেখুন | North 24 Parganas News Today
ভেঙে পড়ার কারন নেই! কেন BJP-র হার, জানালেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | BJP News
Live : India vs Australia: রাহুল-যশস্বীর ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন, অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরুতেই দাপট