ক্যানিং পশ্চিমে কংগ্রেসের পরিচিত মুখ বিজেপিতে, কতটা পাল্টাবে ভোটের অঙ্ক

ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র 
বারবার রং বদল করেছে ভোটে 
কংগ্রেস-সিপিএমের লড়াই এই কেন্দ্রে 
তবে এবার কংগ্রেসের নেতাই গেছেন বিজেপিতে 
 

তাপস দাস. প্রতিনিধি, ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র নিরবচ্ছিন্নভাবে সিপিএমের গড় ছিল না। ১৯৭৭ সালে এবং ১৯৮২ সালে এখানে সিপিএম জয়লাভ করলেও ১৯৮৭ সালে এখানে জেতে কংগ্রেস। আবার ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিএম জিতলেও ২০০১ সালে এই কেন্দ্রে ফের কংগ্রেস জয়লাভ করে। ২০০৬ সালে সিপিএম এখানে শেষবার জিতেছিল। ২০১১ সালে সিপিএম রাজের অবসানের ভোটে এখানে জিতলেন তৃণমূল কংগ্রসের শ্যামল মণ্ডল। ২০১৬ সালের ভোটেও শ্যামল মণ্ডল তথা তৃণমূল কংগ্রেসই ফের জয়লাভ করে সেখানে। শ্যামল মণ্ডলকে মমতার মন্ত্রিসভাতেও শামিল করা হয়েছিল।  

তবে এবার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কিন্তু তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। শ্যামলের এবারের মনোনয়ন বাসন্তী কেন্দ্র থেকে। তফশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত ক্যানিং পশ্চিম থেকে তৃণমূল দাঁড় করিয়েছে পরেশরাম দাসকে। 

Latest Videos

নন্দীগ্রামের বয়াল নিয়ে মমতার হাতে লেখা চিঠি, 'পয়েন্ট টু পয়েন্ট' জবাব নির্বাচন কমিশনের

ক্রমশই খারাপ হচ্ছে দেশের করোনা-পরিস্থিতি, মহামারি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী ..

১৯৭৭ সাল থেকে যদি দেখা যায়, তাহলে ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রে ৭৭ ও ৮২ সালে এখানে জেতেন সিপিএম প্রার্থী। ১৯৮৭ সালে জেতেন কংগ্রেসের গোবিন্দ চন্দ্র নস্কর। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিএমের জয়ের পর, ২০০১ সালে এখানে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ী প্রার্থীর নাম সেই গোবিন্দ চন্দ্র নস্করই। ২০০৬ সালে ফের এখানে সিপিএম প্রার্থী জয়লাভ করেন। 

২০১৬ সালে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল মণ্ডলের মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসে অর্ণব রায়। অর্ণব প্রায় ৭৪ হাজার ভোট পেয়ে দু নম্বরে ছিলেন। বিজেপির মনোজিৎ মণ্ডল সাড়ে ১২ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তিন নম্বরে ছিলেন। সেই অর্ণব এবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, ক্যানিং পশ্চিম থেকে তিনিই পদ্ম প্রার্থী। ২০১১ সালে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মনোজিত ৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ৫ বছরে বিজেপির ভোট বেড়েছিল প্রায় দ্বিগুণ। 

ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের প্রতাপ মণ্ডল। 

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির পরিমাণ খুব বেশি নয়, ২৫ হাজারের মত।   

অর্ণব রায়ের বিজেপিতে যোগদান সেই মার্জিনকে কতটা পাল্টে দিতে পারে তা দেখা যাবে তৃতীয় দফার ভোটে, অর্থাৎ ৬ এপ্রিল। আর মানুষ কী রায় দিলেন তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত। 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury