ভারতেও মারাত্মক আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ
যে কারণে সারা দেশে লকডাউন প্রোটোকল জারি করা হয়েছে
তারপরেও অনেকেই গুরুত্ব না বুঝে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন
জানেন কি একজন কোভিড-১৯ রোগীর থেকে কতজন আক্রান্ত হতে পারেন
পুরো বিশ্বে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থায় রয়েছে। ভারতেও এই সংক্রমণ এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যে কারণে লকডাউন প্রোটোকল জারি করা হয়েছে। তারপরেও অনেকেই অবস্থার গুরুত্বটা বুঝতে পারছেন না। একজন কোভিড-১৯ রোগীর থেকে ঠিক কতজনের শরীরে সংক্রমণ হতে পারে জানেন? জানলে আর ঘর থেকে বের হবেন না।
লন্ডনের ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের অধ্যাপক ডাক্তার হিউ মন্টগোমারি-র মতে করোনাভাইরাস সবচেয়ে দ্রুত সংক্রামক ভাইরাস। মাত্র একজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে ৫০,০০০-এরও বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে। সাধারণ ফ্লু জ্বরের এক রোগী গড়ে ১.৩ থেকে ১.৪ জন মানুষকে আক্রান্ত করতে পারেন। নতুন আক্রান্তরা সমপরিমাণ মানুষকে আক্রান্ত করতে পারেন। এইভাবে চক্রটি অন্তত ১০বার পর্যন্ত চলে। অর্থাৎ একজন সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে ১৪ জন পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারেন।
এই হিসাবটা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক। তবে এরমধ্যেও একটা স্বস্তির কারণ রয়েছে। ডাক্তার হিউ জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস এক থেকে তিন সংক্রমণ চক্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সাধারণ ফ্লু জ্বরের মতো যদি এটি ১০ চক্রের স্তরে চলে যায় তবে আক্রান্তের সংখ্যাটা কল্পনার বাইরে চলে যাবে। তবে যতজন আক্রান্ত হবেন তাঁদের মধ্যে অল্প কিছু মানুষকেই হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা হবে। আর আরও কম লোককে আইসিইউতে রাখতে হতে পারে।
কাজেই ডাক্তার হিউ-এর মতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে বা ভাইরাসটির আক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় অন্য মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে সাড়ে একুশ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত। চিনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্তের সন্ধান মিললেও, বর্তমানে বিশ্বের খুব অল্প শহরই রয়েছে, যেখানে এই ভাইরাস-এর পা ফেলা বাকি।