উত্তর প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৪৩
১৮৭ জনের সঙ্গেই নিজামুদ্দিনের যোগ রয়েছে
১৫ হটস্পট চিহ্নিত করে সিল করছে প্রশাসন
মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে উত্তর প্রদেশে। এই অবস্থায়ে হটস্পট সংখ্যাও বাড়ছে রাজ্যে। ১৫টি জেলাকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করছে উত্তর প্রদেশের। সেই সব জেলাগুলি বুধবার মধ্য রাত থেকেই সিল করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ১৫ জেলার তালিকায় নাম রয়েছে রাজধানী লখনউয়ের। নয়ডাসহ গৌতমবুদ্ধ নগরও রয়েছে সেই তালিকায়। গাজিয়াবাদ, আগ্রা, মীরাট, শামলি ও সাহারণপুরেরও নাম রয়েছে করোনার হটস্পটের তালিকায়। উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অবনীশ অবস্থি জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ লকডাউন নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে লকডাউন সুনিশ্চিত করতে ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে প্রত্যেক ব্যক্তির বাড়িতে খাবার ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করা হবে। আমাগী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই একশো শতাংশ লকডাউন। রাজ্যসরকার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই কাজে লেগেযাবে প্রশাসন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দুধরনের হটস্পটের কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একটি হল ইমার্জিনিং হটস্পট। যেখানে দুসপ্তাহ ধরে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। অন্যটি হল পোটেনশিয়াল হটস্পট। যেখানে জনবসতির ঘণত্ব অনেক বেশি। উত্তর প্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে রাজ্যে এমন অনেক হটস্পট রয়েছে যেখানে দুধরনের প্রবনতাই দেখা গেছে। পাসাপাশি আরও জানানো হয়েছে, এলাকার সমস্ত মানুষ যতক্ষণ না সুস্থ হচ্ছেন ততক্ষণ লকডাউন তোলা ঠিক হবে না।
আরও পড়ুনঃ মাস্ক না পরলে হতে পারে হাজত বাস, করোনা মোকিবিলায় নয়া পদক্ষেপ
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ফেস মাস্ক কতটা নিরাপদ, কী বলছে সমীক্ষা
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণ রুখতে রণনীতি বদল, দক্ষিণ কোরিয়ার পথেই কি ভারত
উত্তর প্রদেশ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৩। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন তবে আক্রান্ত ৩৪৩ জনের মধ্যে ১৮৭ জনের তাবলিগি জামাতের সঙ্গে যোগ রয়েছে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে উত্তর প্রদেশও মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূল করছে বলেছে জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।