বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দরবারে এসপার-ওসপার
২৩ জুন ভারতের করোনা যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত বড় দিন
'হু'এর অনুমোদনের আবেদন জানাতে চলেছে কোভ্যাক্সিন
না মিললে অনের ভারতীয়রই টিকা নেওয়া বৃথা যাবে
আগামী ২৩ জুন, ভারতের করোনা যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত বড় দিন। এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমোদন পায়নি দেশি কোভিড-১৯ টিকা, ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি কোভাক্সিন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, 'হু'-এর অনুমোদনের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ২৩ জুন তারিখেই দুই পক্ষ বৈঠকে বসবে। তারপরই ভারতীয় সংস্থার পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে করোনা টিকার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। এই অনুমোদন না পেলে কিন্তু, আইসিএমআর-এর সহায়তায় তৈরি এই টিকা নিয়েও বিদেশ সফর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যায় পড়বেন ভারতীয় রা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের তালিকায় নাম তুলতে যা যা নথিপত্র দরকার, কোভ্যাক্সিন সম্পর্কিত তার ৯০ শতাংশ নথিই গত মাসে জমা দিয়েছিল ভারত বায়োটেক। সেইসময়ই সংস্থাটি জানিয়েছিল, বাকি কাগজপত্র জুন মাসে জমা দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অনুমোদন পাওয়া অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিশ্বের অধিকাংশ দেশই শুধুমাত্র 'হু' অনুমোদিত ভ্যাকসিনগুলিকেই মান্যতা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোঙ্যাক্সিন হু-এর অনুমোদন না পেলে ভারতীয়দের বিশ্বের অনেক দেশেই প্রবেশাধিকার থাকবে না।
চলতি মাসের শুরুতেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভি কে পল বলেছিলেন, এই অনুমোদন আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার, ভারত বায়োটেক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তথ্য ভাগ করে নেওয়ার কাজ চলছে। শীঘ্রই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের মাইলফলক অর্জন করবে দেশি টিকা, এমনই আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে, গত সপ্তাহেই মার্কিন ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ, কোভাক্সিনের জরুরি ব্যবহার অনুমোদন-এর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। দেশি করোনা টিকাকে আরও একটি অতিরিক্ত ট্রায়াল শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। এই বিষয়টি ভারত বায়োটেকের বিপক্ষে যেতে পারে।
তবে এফডিএ-র সম্পূর্ণ লাইসেন্স চাওয়ারর কথা বলেছে কোভ্যাক্সিন-এর মার্কিন অংশিদার সংস্থা ওকুগেন। তারা জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের জরুরী ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আর আবেদন করা হবে না। বদলে, ওকুগেন ইনকর্পোরেশন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটির জন্য একটি বায়োলজিক্স লাইসেন্স বা বিএলএ-র আবেদন জমা দেবে। তার আগে হু-এর অনুমোদন পেয়ে গেলে, আর কোনও কথাই নেই।