মন্ত্রী সাংসদদের পর এবার করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের এগিয়ে আসার নিদান দিল সরকার। দেশের করোনা যুদ্ধে পিএম কেয়ার ফান্ডে একদিনের বেতন দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। আপাতত তেমনই নির্দেশ এসেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব মন্ত্রকের তরফে। জানা গিয়েছে, নতুন নির্দেশের আওতায় শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাই নয় , টাকা নেওয়া হবে পেনশন হোল্ডারদের থেকেও। এমনকী আগামী দিনে মহার্ঘ্য ভাতাও বন্ধ হয়ে গেল কর্মীদের। তবে এই সব কিছুই ২০২১ সাল পর্যন্ত লাগু হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিষেধক বা টীকা তৈরি হয়নি এখনও। মারণ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্বই এখন সব থেকে বড় হাতিয়ার। তাই ১৪ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত ফের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় যে বিপুল পরিমাণ ফান্ড প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তায় মোদী সরকার। সেকারণে দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ডে ত্রাণের টাকা দেওয়ার আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত টাকা তুলতে বিভিন্ন ছাড় দেওয়া হচ্ছে এই ফান্ডে। কদিন আগেই সাংসদ , মন্ত্রীদের বেতনরে ৩০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তাঁদের মাসিক বেতন থেকে একদিনের অর্থ নেওয়া হবে পিএম কেয়ারে। চলতি মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসেই তাঁদের একদিনের বেতন দিতে হবে এই তহবিলে। রাজস্ব বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবিলায় আপাতত সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ্যভাতাও বাড়ানো হচ্ছে না। বছরে সাধারণত দু’বার এই সুবিধা পেয়ে থাকেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তরা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। তাদের মতে, বরাবরই সময়মেতা ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা বাড়িয়ে থাকে কেন্দ্র। এমনকী বছরে দু বরা এি ঘো,ণার কোনও নড়চড় হয় না। তাই দেশর বিপদের সময় এই টাকা প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ডে দান করাটা তাদের অবশ্য় কর্তব্য়ের মধ্য়ে পড়ে। বেতন দেওয়ার আগে এই টাকা কেটে নিয়ে কোনও ভুল করছে না কেন্দ্র।